1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক যশোরের অভয়নগরে ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে মাদক ব্যবসা! সাংবাদিক ও পুলিশ কে এক সাথে কাজ করতে হবে…. ওসি রিয়াদ মাহমুদ  শ্যামনগরের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সুনামগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী কামরুজ্জামানের সমর্থনে গণসমাবেশ জুলাই সনদের প্রয়োজন নেই, আমাদের একটি সংসদ প্রয়োজন: মেজর (অব:) হাফিজ তালায় ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৫ পালিত পাইকগাছা কয়রার প্রতিবন্ধীদের স্থায়ী পুনর্বাসন করা হবে-রফিকুল ইসলাম  পাইকগাছায় ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত  তালায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা

ভারতের সিঁন্দুর মুছে দিল অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস: ইবনে শাহ

শাহ আজিজুর রহমান তরুণ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা অফিস :

ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে জবরদখল করে কাশ্মীরি মুসলিমদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি ভারত। ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের জাল বুনে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করে ভূস্বর্গ কাশ্মীরে জাহান্নামের আগুন প্রজ্বলিত করে রেখেছে। এরি ধারাবাহিকতায় গত ২২শে এপ্রিল/২৫ কাশ্মীরের পেহেল গ্রামে নিজেরাই গোলাগুলি করে পর্যটকদের হত্যা করে, এর দায়ভার চাপিয়ে দেয় পাকিস্তানের উপর। একেই বলে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করা। শুধুমাত্র পাকিস্তানের উপর অপবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজ দেশের নিরীহ নাগরিককে হত্যা করতে ও তাদের দ্বিধা হয়নি। নিজেদের নাক কেটে পাকিস্তানের যাত্রা ভঙ্গ প্রচেষ্টা করা হলেও পাকিস্তান বরাবর বলে আসছিল আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক এবং তাতে পাকিস্তানের সমর্থন থাকবে। কিন্তু চোর শোনে না ধর্মের কাহিনী।

বিচার মানি তালগাছ আমার এই নীতিতে বিশ্বাসী ভারত বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে পেহেলগ্রাম হত্যাকাণ্ডের দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে পাকিস্তানের উপর হামলা করার ফন্দি আটতে থাকে। তারা মনে করেছিল কাশ্মীরের মত পাকিস্তানকে অতি সহজেই জবরদখল করে নিবে। এই ভেবে যুদ্ধের সব নীতি লঙ্ঘন করে গভীর রাত্রে “অপারেশন সিন্দুর” ঘোষণা করে পাকিস্তানের ঘুমন্ত বেসামরিক নাগরিকের উপর হামলা করে বসে। তাদের এই অপারেশন সিঁন্দুর নামকরণের পিছনে অনেক ইতিহাস আছে। অপারেশন সিন্দুর তারা এ কারণেই নামকরণ করে যে পেহেলে গ্রামে ২৬ জন পুরুষ নিহত হলে ২৬ জন নারী বিধবা হয়, তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিধবারা সিঁন্দুর পড়তে পারে না। তাই তারা চেয়েছিল পাকিস্তানে হামলা করে পাকিস্তানি মুসলিমদের রক্ত দিয়ে তাদের বিধবাদের সিঁথিতে পড়াবে।

তারা মনে করেছিল এত বড় দেশ এত বিশাল সেনাবাহিনী এত বড় বড় ব্রহ্মাস্ত্র দেখে পাকিস্তান নুইয়ে পড়বে আর দাঁড়াতে পারবে না।। কিন্তু বিধি বাম, হামলা করার সাথে সাথে পাকিস্তান এমন ভাবে খাঁমছে ধরল যে, তিনটি রাফাল সহ পাঁচটি জঙ্গি বিমান আছাড় মেরে ভূপাতিত করল। পাকিস্তান ভারতের প্রতিটি ইটের জবাবে পাটকেলর মারতে লাগলো। পাকিস্তানের পাটকেলের আঘাত ভারতের সীমান্তের ঘাঁটি, সামরিক স্থাপনা এমনকি সীমান্তবর্তী সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে পড়ে । ভারত কাপুরুষের মত পাকিস্তানের মসজিদ-মাদ্রাসা সহ আবাসিক এলাকায় হামলা চালালো কিন্তু পাকিস্তানি সৈনিকরা যুদ্ধের নীতি কখনোই লংঘন করেনি, তারা ভারতীয় সামরিক স্থাপনা এবং হামলাকারী বাহিনীকে টার্গেট বানিয়েছে।

ভারত অপারেশন সিন্দুর ঘোষণা করে পাকিস্তানের উপর একের পর এক মামলা করে যাচ্ছে বাধ্য হয়ে পাকিস্তান নিজেদের দেশের জনগণ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অপারেশন বুন ইয়ানূম মারছুছ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। পাকিস্তান মুসলিমদের যুদ্ধনীতি কখনোই ভঙ্গ করেনি, তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে দিনের পূর্বভাগে আক্রমণ করে। ভারত অপারেশন সিঁন্দুর ঘোষণা করে পাঁচ দিন ধরে ক্রমাগতভাবে পাকিস্তানের উপর জঙ্গি বিমান, ড্রোন, মিসাইল, রকেট ছুড়তে লাগলো–পাকিস্তানি সৈনিকরা সাহসিকতা, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পূর্বপুরুষের শৌর্যবীর্য দেখিয়েছে। নিশি রাইতে আক্রমণ করেও পাকিস্তানের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু পাকিস্তান যখন অপারেশন বুন ইয়ানূম মারছুছ ঘোষণা করে ভারতকে আক্রমণ করল তখন ৫ ঘন্টার মধ্যেই ভারতমাতার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল। যুদ্ধের স্বাদ মিঠে গেল, মাত্র ৫ ঘন্টার আক্রমণেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে দিশেহারা যুদ্ধের স্বাদ মিটে গেল। পাকিস্তানের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য নাকে খত দিয়ে ট্রাম্পের হাতে পায়ে ধরতে লাগলো।

আ- হারে ভারত বিধবাদের জন্য সিঁন্দুর আনতে চেয়েছিলে কিন্তু পাকিস্তানি জওয়ানদের বুন ইয়ানূম মারছুছ এর আঘাতে নিজ দেশের সকল সধবাদেরও সিঁদুর মুছে গেল। হঠাৎ করে গরম হয়ে সিন্দুরের জন্য এত লম্প ঝম্প, তো পাকিস্তানি জওয়ানদের অপারেশন বুনি ইয়ানুম মারছুছে এত তাড়াতাড়ি হাঁপিয়ে উঠলে কেন।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে এখনো শোধরানোর সময় আছে। ভারত সরকার আজ মুসলিম বিদ্বেষী হয়ে গেছে , নিজ দেশের মুসলিমদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে কিন্তু একবারও ভাবেনা এই মুসলিমরাই তাদেরকে ভদ্র বানিয়েছে, সভ্যতা শিখিয়েছে, উন্নতির শিখরে নিয়ে এসেছে। আজ যে মুসলিমদেরকে ভারত অবজ্ঞা করছে সেই মুসলিমদের পূর্বপুরুষদের নিকট মারাঠা, গুজরাটি, রাজপুত,কন্নড়, সিন্ধি পাঞ্জাবিসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষাভাষী কত জাতি, কতভাবে, কতবার পরাজিত হয়েছে। তোমাদের পূর্বপুরুষদের অতীতের সেই পরাজয়ের ঝিলিক হলো আজকের এই বুন ইয়ানূম মারছুছ। দুঃখ পেয়না দাদা, মুসলিমরা তোমার পূর্ব পুরুষদেরকে শুধু বারবার পরাজিতই করেনি হাজার বছর ধরে শাসন‌ও করেছে, শিক্ষা সংস্কৃতি, ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পকলা এমনকি যুদ্ধবিদ্যা ও সাহসিকতা মুসলিমদের নিকট থেকেই তোমরা শিখেছ। কিন্তু তোমরা অতীত ভুলে গেছো।

বুন ইয়ানূম মারছুছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করলে আর কোন সমস্যা হবে না। এই রে–একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, দাদা তোমাকে সবসময় মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের আর এক জ্ঞাতি ভাই উত্তর পূর্ব দিকে মুরগির গলার কাছে উৎপেতে বসে আছে। সাত বোন তোমার সংসার করতে চায় না, ঝাড়খন্ড, খালিস্তান আন্দোলন তো সেই কবে শুরু হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর তোমার গলার কাঁটা হয়ে ফুটছে, কবে যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মানবতার দুশমন ইজরায়েলের দোস্তী এই বিষয়গুলোকে বিবেচনা করতে দেয়নি। দোস্ত ইজরাইল সব সময় তোমাকে ভুল পথে পরিচালিত করে কেমন অপমান করলো একটু ভেবে দেখিও। প্রতিবাসীর সাথে ভালো আচরণ করলে বিপদ আপদে অনেক সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়। শক্তির দম্ভ আর দাপট দেখিয়ে প্রতিবেশীর মন জয় করা যায় না। বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে এ হাত কেউ ফেরায় না, কিন্তু আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের কালো হাত কেউ সহ্য করতে পারে না, সকলেই আগ্রাসনের কালো হাত কেটে ফেলতে চায়। আশেপাশের কারো সাথেই তোমার সুসম্পর্ক নেই, এর কারণ কি ,–“গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ এই মনোভাব পরিত্যাগ করুন? আধিপত্যবাদী চিন্তা চেতনা ও কার্যক্রম দূর না করলে এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাব পরিত্যাগ না করলে কেউ তোমার বন্ধু হবে না, কোন প্রতিবেশী তোমার বিপদ আপদে এগিয়ে আসবে না। জায়েনবাদী পরামর্শে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ের প্রভুর পা চেটে খুব বেশি লাভ হবে না। এভাবে আর কত কাল ‘একঘরে’ হয়ে থাকবে।

গো-মুত্র ও গো -মল খেঁকো মস্তিষ্কে আমার কথাগুলো বুঝতে পারলে ভালো, না বুঝতে পারলে আরো ভালো,—-দুই দিক থেকেই বুন ইয়ানূম মারছুছ। সেই একই রনাঙ্গন, সেই একই জাতির মুখামুখি, যাদের হাতে তোমার পূর্বপুরুষরা হাজার বছর শাসিত হয়েছে।

লেখক: ইবনে শাহ
বিশিষ্ট কলাম লেখক ও রাজনীতিবিদ

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট