1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি, আবার বাজল যুদ্ধের দামামা

মোঃ জাবের হোসেন , সহ বার্তা সম্পাদক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে
Image 571003 1755062518
সিন্ধু নদসহ পানিবণ্টন চুক্তি ইস্যুতে ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

ঢাকা অফিস

সিন্ধু নদসহ পানিবণ্টন চুক্তি ইস্যুতে ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, যদি ভারত সিন্ধু নদীর পানি আটকে রাখার চেষ্টা করে, তাহলে পাকিস্তান এর উপযুক্ত জবাব দেবে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে নিতে দেবো না। যদি কেউ এমন পরিকল্পনা করে, তাহলে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে; যা সারাজীবন মনে থাকবে।’

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে এক জঙ্গি হামলায় ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামক গোষ্ঠী।

এরপর ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে। ফলে পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে এবং দেশটির কৃষি খাত চরম ঝুঁকিতে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে। ৮ আগস্ট আদালত রায় দেন, যেখানে ভারতকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ যেকোনো বাঁধ নির্মাণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে বলা হয়।

রায়ের পর পাকিস্তান স্বাগত জানালেও ভারত এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির আরও কড়া হুঁশিয়ারি দেন।

৯ আগস্ট ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভারত যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে, তবে তা ধ্বংস করতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট। সিন্ধু নদ কারও পারিবারিক সম্পত্তি নয়, আর আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই।’

সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী, ভারতকে পূর্বাঞ্চলের ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ পানি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের সুযোগ না থাকলেও বিরোধ নিষ্পত্তির সুস্পষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর পানি পাকিস্তানের কৃষি, শহর ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মূলভিত্তি।

এসব নদীর প্রবাহ ব্যাহত হলে দেশটির সেচব্যবস্থা, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট