1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার রামপালে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে মনিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল পাইকগাছায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে শিখন কর্মশালা অনুষ্ঠিত  পাইকগাছায় নারীদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  যশোর-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের এবং: বায়েজিদ এর মনোনয়ন সংগ্রহ গাজীপুরের সফিপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-০৮ আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর খুনির ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শ্যামনগর হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও দোয়া  ‎তালায় শহীদ শরিফ উসমান বিন হাদী হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হাদির মৃত্যুর খবরে উত্তাল নরসিংদী

কয়রার আমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানে চলছে অনিয়ম, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা 

কয়রা(খুলনা প্রতিনিধি)
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

এডিশন ডেস্ক::

খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান ভেঙে পড়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষিকারা পাঠদানের প্রতি আগ্রহী নন। তারা শ্রেণিকক্ষে বই–খাতার পরিবর্তে সময় কাটান ফেসবুক আর টিকটকে। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে, আর অভিভাবকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।

বিদ্যালয় সূত্র ও স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টায় পাঠদান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ দিনই ক্লাস শুরু হয় বেলা ১১টার পর। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বাইনও আসেন দুপুর ১২টার দিকে। ফলে সকাল থেকে নিরাশ হয়ে বসে থাকতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদের।

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষিকা মাহমুদা সুলতানা ও ইন্দানী রাণী ক্লাসে পাঠদানের বদলে ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বোর্ডের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে, অথচ শিক্ষিকারা মগ্ন থাকেন মোবাইল স্ক্রিনে। অভিযোগ আছে, খুলনা শহরে বসবাসকারী মাহমুদা সুলতানা বৃহস্পতিবার সকালে হাজিরা খাতায় সই করেই বেরিয়ে যান। রবিবারও তিনি প্রায়ই দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন।

অভিভাবকদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে বিদ্যালয়ের আরেকটি চিত্র। বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ছাগল ও গরু পালন করছেন শিক্ষিকা হোসনেয়ারা ও মাসকুরা খাতুন। প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বাইন এই বিষয়ে আপত্তি জানালে তাকে অপমান করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক অনাদি রঞ্জন সরকার নিয়মিত পাঠদান করার বদলে বাজারে ব্যবসার খোঁজখবর নিতে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে একাধিকবার বাইরে চলে যান।

এসব অনিয়মে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মৃন্ময় মন্ডলের বিরুদ্ধেও। স্থানীয়দের দাবি, তিনি শিক্ষকদের অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ফলে বারবার অভিযোগ করেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পাননি অভিভাবকরা। সম্প্রতি এ নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনাও ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে হতাশ অভিভাবকেরা বলছেন, “আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা শিখতে স্কুলে আসে। কিন্তু শিক্ষিকারা ক্লাসে বসে ফেসবুক চালান। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের শামিল।

আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বাইন বলেন, “বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে গরু–ছাগল পালনের বিষয়ে আমি আপত্তি জানিয়েছি। আমি শিগগিরই এগুলো বের করে দেব। ক্লাসে ফেসবুক ব্যবহারের অভিযোগও খতিয়ে দেখছি। আমাকে পাঁচ দিন সময় দিন, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি নিয়মিত সময়েই আসি। তবে প্রশাসনিক কিছু কাজের কারণে কখনো কখনো দেরি হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। কোনো শিক্ষক অনিয়মে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যালয়ে গবাদি পশু পালন ও শিক্ষিকাদের টিকটক, ফেসবুক আসক্তি বিষয়ে খোঁজ নিবেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয়রা। তাদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে শিশুদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট