এডিশন ডেস্কঃ
বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা তৃতীয় দফায় হরতাল প্রথম দিন ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হওয়ার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসটার্নিমাল থেকে দুরপাল্লার এবং অভ্যান্তরীন রুটে কোন যানবাহন চলাচল করেনি। এদিকে পূর্ব ঘোষিত মঙ্গলবার ও বুধবারের অর্ধদিবস হরতাল প্রত্যাহার করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর পরিবর্তে জেলা ও জেলার সব উপজেলায় অর্ধদিবস নির্বাচন অফিসের সামনে ওই দুইদিন অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদেরকে কেনাকাটা ও আনন্দ উৎসবে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় তার জন্য এরল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো কনভেনার ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এম এ সালাম এ ঘোষণা দেন। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি। ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই হরতাল প্রত্যাহার করেছি। তবে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আগামী দুই দিন অর্ধদিবস নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রোববার অবস্থান কর্মসূচি, সোমবার সকাল- সন্ধ্যা, মঙ্গল ও বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর আগে দুই দফা কঠোর ভাবে হরতাল ও অবরোধ পালন করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল।