এডিশন ডেস্কঃ
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে ঘিরে প্রতিবছর এ সময় পর্যটকদের ভিড় জমে। কিন্তু চলতি বছর পর্যটকদের উপস্থিতি না থাকায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ট্রলার শ্রমিকরা।
গাবুরা চকবারা এলাকার ট্রলার চালক রিপন গাজী জানান, “গত তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা বহু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পাশ ছাড়ার পরেও পর্যটক খুবই কম। ফলে আমরা এখন কার্যত বেকার হয়ে পড়েছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য পর্যটকরা সাধারণত নৌকা ও ট্রলার ভাড়া করে থাকেন। এসব নৌযানে কর্মরত শত শত শ্রমিকের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে পর্যটনের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটক না আসায় অধিকাংশ ট্রলার অলস পড়ে আছে। আয় বন্ধ হয়ে পড়ায় শ্রমিকরা হতাশায় ভুগছেন।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ঘাটের ট্রলার মালিক আনিসুর রহমান বলেন, “সাতক্ষীরা থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার কারণে হয়তো পর্যটক আসতে চাইছে না।”
নীলডুমুর ঘাটের ট্রলার শ্রমিক শাজাহান জানান, “সুন্দরবন দেখতে মানুষ না আসায় আমরা এখন বেকার হয়ে বসে আছি। প্রতিদিনের খরচ চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে।”
পর্যটক না আসায় শুধু ট্রলার শ্রমিকরাই নয়, আশপাশের বাজার, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ছোট ব্যবসায়ীও ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মাত্র ৪৪ জন পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সড়ক যোগাযোগের দুরবস্থা ও অন্যান্য কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। তারা আশঙ্কা করছেন, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটক না এলে স্থানীয় শ্রমিকদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।