এডিশন ডেস্কঃ
প্রায় ছয় দশক পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্ট। বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ অল-শারা। সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিশাল পর্দার সামনে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে তার ভাষণ দেখেন। খবর বার্তা সংস্থা এপির।
ভাষণে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেন, ছয় দশক ধরে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ মানুষকে হত্যা এবং লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। সিরিয়া এখন বিশ্বের বিভিন্ন জাতির মধ্যে তার ন্যায্য স্থান পুনরুদ্ধার করছে।’
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা।
ভাষণে ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, আসাদের পতনের পর থেকে তেলআবি তার দেশের প্রতি হুমকি বন্ধ করেনি। তার মতে, ইসরাইলের নীতি সিরিয়া এবং এর জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এই অঞ্চলকে বিপন্ন করে তোলে।
আল-শারা বলেন, সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ আসাদ সরকারের তহবিল সংগ্রহের জন্য যে মাদক ব্যবসা ব্যবহার করত তা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এরআগে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ১৯৬৭ সালে নুরদ্দীন আত্তাসি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই ভাষণের পর আল-শারা প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট যিনি জাতিসংঘে ভাষণ দিলেন। এই যুদ্ধে দামেস্ক গোলান মালভূমির নিয়ন্ত্রণ হারায়। ১৯৮১ সালে ইসরাইল এটিকে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
১৯৭০ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সিরিয়ায় আসাদ পরিবার ক্ষমতায় আসে। দামেস্ক সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্র ছিল, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল শীতল। গত কয়েক দশক ধরে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।