এডিশন ডেস্ক::
যশোরে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এসআই(নিঃ)/শেখ আবু হাসান, এসআই(নিঃ)/অলক কুমার দে পিপিএম সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে একটা চৌকস টিম জেলার কোতয়ালী থানার মামলা নং-৭৮, তারিখ-২৬/০৯/২০২৫ ইং, ধারা: ৪২০/৩৭৯ পেনাল কোড মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী মোঃ আল-আমিন হোসেন(২২) বেনাপোল থানাধীন কাগজপুকুর নামক এলাকায় প্রতারণা পূর্বক চোরাই মোটর সাইকেল সহ অবস্থান করছে।
শুক্রবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজপুকুর এলাকার শিশির মোটরস্ এর সামনে থেকে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে চোরাই আলামত মোটরসাইকেলটি, যাহার রেজিস্ট্রেশন নং-যশোর ল-১৫-০৮৭৮ জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আল আমিন বেনাপোল পোর্ট থানার বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ এর পুত্র।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় উক্ত মোটর সাইকেলটি মামলার বাদী ইনামুল এর কাছ থেকে গত ইং- ০২/০৮/২৫ তারিখ সময় অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় বাদীর কর্মস্থল যশোর গরীব শাহ রোড শাখা, সোনালী ব্যাংকের নিচে যায় এবং তার সহযোগী অপর এজাহার নামীয় আসামী রিমন হোসেন এর মায়ের অসুস্থতার কথা বলে প্রতারণা মুলকভাবে মোটরসাইকেলটি তারা সু-কৌশলে হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তারা বাদীকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বিভিন্ন গল্প বলে বিভ্রান্ত করে এবং তারা জানায় যে ঝিনাইদহ এলাকার স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মারধর করে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে একপর্যায়ে মোটরসাইকেল ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার কথা বলে বাদীকে শার্শা থানাধীন নাভারন মোড়ে ডেকে নিয়ে এমএস এইচ এন মোটরস এর শোরুমে নিয়ে যায়।
আসামী রিমন হোসেন বাদীকে কিছু টাকা কম আছে জানিয়ে বাদীর কাছ থেকে ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা নেয় এবং বাকি টাকা আনার কথা বলে সে এবং আসামী সাগর চলে যায়। তারা দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও না আসায় বাদী আসামীদেরকে ফোন দিলে ফোনও বন্ধ পায়। একপর্যায়ে আসামীরা বাদীর ফোন ধরা বন্ধ করে এবং বেশির ভাগ সময় তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে সু-কৌশলে তারা নিজেদেরকে আত্নগোপনে রাখে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ইং ২৬/০৯/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উদ্ধারঃ
০১। একটি FZV2 মোটর সাইকেল, যার রেজিস্ট্রেশন নং-যশোর ল-১৫-০৮৭৮, ইঞ্জিন নং- G3L5E0258936, চেচিস নং- PS2RG64100A052096, মুল্য অনুমান ২,৪০,০০০/-(দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা।