এডিশন ডেস্কঃ
ভবদহ, যশোরের মনিরামপুর উপজেলা সাধারণ মানুষের গলার ফাঁস। ১৯৬১ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর এবং খুলনা জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া উপজেলার ফসল লবণাক্ত পানি থেকে রক্ষায় টেকা নদীতে ভবদহে নির্মিত হয় স্লুইসগেট। নির্মানের পর ২১, ৯ ও ৩ গেট দিয়ে দুই জেলায় ৫ উপজেলার ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন হতো।
দেশ স্বাধীনের পর এই প্রকল্পটির দেখভালের দায়িত্ব পায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুষ্ঠু ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় স্লুইসগেটের অপরপ্রান্তের নদী পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। বিলের তলদেশ থেকে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে পড়ায় বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান নদী খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও অল্প দিনেই আবার ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ৫ উপজেলার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকার সমস্যা সমাধানে বরাদ্দ দেয় শতকোটি টাকা। পাউবো ও স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল বরাদ্দকৃত টাকায় নিজেদের পকেট ভারি করায় সমস্যার সমাধান হয়নি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবছর এ প্রকল্পে সরকার শতকোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও আজো সফলতার মুখ দেখা যায়নি। ৮০ দশক থেকে আজ পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা সভা সমাবেশ, ডিসি ও নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে স্বারকলিপি দিয়ে প্রকল্পে সেনাবাহিনীর সংযুক্তির দাবি করে আসছেন। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার জনগণের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমস্যা সমাধানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সেনাবাহিনী সংযুক্ত করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কতিপয় ব্যক্তির পূর্ণিমার চাঁদ মাখা মুখে অমাবস্যার কালো ছাপ দেখা যাচ্ছে। অন্য দিকে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ অমাবস্যার রাতে পূনীমার চাঁদের হাসি দেখতে পাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা খুলনা এডিশনকে জানিয়েছেন এ বার ভবদহ সমস্যার সমাধান হবে।