এডিশন ডেস্কঃ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে ইউনিয়নের প্রতিটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রতিটি মন্ডপের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর ও পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
বুধবার (০১ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় পূজা উৎযাপন কমিটি ও শান্তি শৃঙ্খলায় দ্বায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি দ্বায়িত্বরত আনসার ভিডিপি’র সদস্য সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
সফর সঙ্গী হিসেবে ইউপি সদস্য আল আমিন, খোশরুর রহমান, আব্দুল হাকিম, গাজী মাসুম বিল্লাহ, মোঃ ফেরদৌস, বিলকিস বেগম, জয়ন্তী রাণীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মের বর্ণের মানুষ মিলেমিশে ধর্মীয় উৎসব পালন করে। এবারের পূজায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রাণী সরকারের নির্দেশনায় ও তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাইন উদ্দীনের পরমর্শে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি মন্ডপে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখতে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্ভিগ্নে চলাচলের জন্য মন্ডপের রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এই ইউনিয়ন সহ অন্য কোন ইউনিয়নে পূজা উৎযাপনে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। এবারের শারদীয় দূর্গা উৎসব খুবই শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপ্তি ঘটবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এটি একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দুর্গাপূজা মূলত সমাজ ন্যায়-অন্যায়ের অবিচার, অসুরশক্তির বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ইতিহাস জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবকে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করে আসছে।
এই বিশেষ উপলক্ষে, জাতি, ধর্ম এবং বর্ণ নির্বিশেষে সারাদেশের সকল দুর্গাপূজার সম্মানে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “দূর্গাপূজা কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বরং এটি এখন এক সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সুন্দরের আরাধনা হলো শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল বৈশিষ্ট্য। আমি আশা করি, ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই এই আনন্দকে সমানভাবে ভাগাভাগি করবে, উল্লেখ করেন যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দেবী দুর্গার আগমনে পৃথিবী থেকে রোগ, শোক, জরা, ব্যাধি ও মহামারীর দূরীকরণ হবে এবং বিশ্বজুড়ে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির অভ্যুদয় ঘটবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে পৃথিবী দুর্গতিমুক্ত হবে। শুভেচ্ছা বার্তায় রেমন সরকার বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ নিজেদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে সক্ষম। আমি সকলের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির কামনা করছি।