খুলনা এডিশন::
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, বার্ধক্য আসার আগেই যৌবনের সময়কে মূল্য দিতে হবে। প্রাক্তন দায়িত্বশীলদের উচিত জামায়াত নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখা, কারণ নেতৃত্ব অনেক দূরদর্শিতা থেকে বিষয়গুলো দেখে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা মহানগরী ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার।
খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ওছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন- মহানগরী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শেখ কামরুল আলম, অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, ড. জিএম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সম এনামুল হক, মিয়া মুজাহিদুল ইসলাম, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, আতাউর রহমান বাচ্চু, সাইদুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মিম মিরাজ হোসাইন, হাফেজ ইমরান খালিদ, হাবিবুর রহমান, মুশাররফ আনসারী, আব্দুল আউয়াল, জাহিদুর রহমান নাঈম, তৌহিদুর রহমান, সাবেক সেক্রেটারি খান মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, মু. সিদ্দিকুর রহমান, ওয়াছিয়ার রহমান মন্টু, মাকসুদুর রহমান মিলন, গাজী মোর্শেদ মামুন।
অন্যদের মধ্যে বর্তমান মহানগরী অফিস সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন, বায়তুলমাল সম্পাদক আসিফ বিল্লাহ, প্রচার সম্পাদক এস এম বেলাল হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক আহমেদ সালেহীন, প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রশিদ, এইচআরডি সম্পাদক কামরুল হাসান, ছাত্র অধিকার সম্পাদক ইমরানুল হক, পাঠাগার সম্পাদক সেলিম হোসেনসহ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুতে আল্লাহতায়ালা আমাদের বিজয় দিয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যানেল দিতে পারছে না অনেকেই। যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বামদের আঁতুড়ঘর, সেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতায়ালা আমাদের যে এতকিছু দিয়েছেন। আমাদের এটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে যেন অহংবোধ চলে না আসে। অহেতুক কথা বা কাজ করার ব্যাপারে সরাসরি আল্লাহতায়ালা নিষেধ করেছেন। ফেসবুকে কথা চালাচালি এসব যারা করে তাদের বিরত থাকতে হবে। যদিও আমরা মনে করি আমাদের কোন দায়িত্বশীল কেউ করে না, যারা সংগঠনের টাচে নাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগের বশবর্তী হয়ে করতে পারে। যে আমাকে গালি দেয়, আমরা তাদের কোনো প্রতিউত্তর দেব না। কারণ গালি কোনো প্রতিউত্তর হতে পারে না। বরং গালির পরিবর্তে তাদের জন্য দুআ।
এডিশন ডেস্ক/২০২৫০০১