খুলনা এডিশন ::
নওগাঁর সদর উপজেলার এনায়েতপুর দাখিল মাদরাসায় যৌন হয়রানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক সিনিয়র শিক্ষক ও জামায়াত নেতাকে চাকরিচ্যুত করার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এক ছাত্রীকে ব্যবহার করে এ নাটক সাজানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা মোনায়েম হোসাইন নওগাঁ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির ছিলেন এবং আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ক্লাসে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে শিক্ষার্থীরা তার পোস্টারে জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার দাবি করে বিক্ষোভও করে।
তবে মোনায়েম হোসাইন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“আমি চরম ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমাকে ভোট থেকে দূরে রাখতে এ নাটক সাজানো হয়েছে।”
অভিযোগ ওঠার পর জামায়াত একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ষড়যন্ত্রের বিষয় উঠে এলে সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় মোনায়েম হোসাইনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসাথে তার দলীয় মনোনয়নও বাতিল করা হয়।
জেলা জামায়াত সেক্রেটারি আসম সায়েম বলেন,
“তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ঘটনাটি সাজানো নাটক। তবে বড় ধরনের বিতর্ক এড়াতেই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
জেলা জামায়াতের আমির খন্দকার আবদুর রাকিব জানান,
“অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু দলের ক্ষতি এড়াতে আপাতত তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
এডিশন ডেস্ক/ এনএইচ/০১