এডিশন ডেস্কঃ
বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ইলিশ আহরণের পাশাপাশি সকল ধরনের ইলিশ মজুদ ও বাজারজাত করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এদিকে সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় বর্তমানে সাগরে অবস্থানরত মাছধরা ট্রলারগুলো মাছ না ধরেই উপকূলে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।ফলে চরম লোকসানে পড়তে যাচ্ছে ফিশিং ট্রলার মালিকেরা।
নিষেধাজ্ঞার আগে শেষ ট্রিপে প্রচুর ইলিশ পাওয়ার আশায় থাকেন মহাজনরা। সেই আশায় লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সাগরে পাঠিয়েছেন ট্রলারগুলো। কিন্তু বৈরি আবহাওয়া তাদের সেই আশা মুহূর্তেই নিরাশায় পরিণত করেছে। ঘাটে ফেরা শতাধিক ট্রলারের মধ্যে বেশিরভাগ ট্রলারেই চালান উঠবে না বলে জানান ট্রলার মালিকরা। ইলিশ না পাওয়ায় কোটি টাকা লোকসান হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন মহাজনরা।
শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান,নিষেধাজ্ঞার আগের এই শেষ ট্রিপে অনেকটা লাভের আশায় লাখ লাখ টাকা খরচ করে ফিশিং ট্রলার মালিকরা নদীতে তাদের ট্রলার পাঠায় কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারনে লাভ তো দূরের কথা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে মহাজনরা।আবহাওয়া ঠিক থাকলে হয়তো তাদের এত ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া লাগতো না।
শরণখোলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার জানান, মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শরনখোলা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হয়েছে বলে তিনি এই সংবাদ প্রতিবেদককে জানান।তিনি আরো জানান যে, এজন্য আগে থেকেই উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে শরণখোলার সকল ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলেদের নিয়েও সভা করে সতর্ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।