আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন জবি ছাত্রদল এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান হাসিব। কিন্তু শুক্রবার রাতে তার অকষ্মিক মৃত্যুতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে যান ছাত্রদল নেতা হাসিব। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ তার খিঁচুনি হলে পাশ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। নিহত হাসিব বিশ্ববিদ্যালয় এর বারোতম ব্যাচের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র ছিল। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায়।
হাসিবের মৃত্যুর খবর শুনে ছাত্র দল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে ছুটে যান। কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। খুলনা এডিশন এর সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন তার মৃত্যুর মাত্র ২ ঘন্টা আগে আমাকে ফোন দিয়েছিল হাসিব, কিন্তু একটি প্রোগ্রামে থাকায় তার ফোন ধরতে পারেননি। পরে রাকিব যখন হাসিবকে ফোন দেন তখন আর হাসিব বেঁচে নেই। এটা কি করে সম্ভব,১০/১২ ঘন্টা হয় তাও একটা কথা, মাত্র ২ ঘন্টা! এর মধ্যেই সব শেষ? এভাবেই বিলাপ করছিল শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এর সাথে।
এদিকে হাসিবের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাত ১২ টায় অনুষ্ঠিত জানাযায় অংশ নেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা জুলাই আন্দোলনে হাসিবের অবদানের কথা তুলে ধরে শোক প্রকাশ করেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরো পড়ুন:
জবি ছাত্রদল নেতার জানাজায় ছাত্রদল, শিবির ও ডাকসু নেতৃবৃন্দ