এডিশন ডেস্কঃ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা ৭টি দল। আজ ১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। রাজধানীর মৎস্য ভবন, বাংলামটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট ওভারব্রিজ, খামারবাড়ির মোড়, আড়ং- কলেজ গেট, শিশুমেলা- কল্যানপুর ওভারব্রিজ, কল্যানপুর ওভারব্রিজ, টেকনিকেল মোড় এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
একই সঙ্গে মতিঝিল এলাকায় ইসলামী আন্দোলন, দৈনিক বাংলা এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, পল্টন এলাকায় খেলাফত মজলিস ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেজামে ইসলাম পার্টি, শাহাবাগে খেলাফত আন্দোলন নেতাদের বক্তব্য দিতে দেখা যায়।
জামায়াতে ইসলামী সহ দলগুলো যেসব দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তা অনেকটাই এক ও অভিন্ন। এর আগে, দুই দফায় দলগুলো যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তার তারিখও ছিল এক। দলগুলোর কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ কিংবা ৭ দফা দাবি দিলেও মূল দাবিগুলো প্রায় কাছাকাছি।
এসব দাবির মধ্যে আছে, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; সংসদের উভয় কিংবা এক কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেওয়া; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী জনাব মোঃ মোবারক হোসাইন বলেন— আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে অবশ্যই উভয় কক্ষে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে। জনগণের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট প্রদান করতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন— আগামী নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখা এবং অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
যদি নির্বাচন-পূর্ব গণভোট না করা হয় তবে নির্বাচন হবে অসাংবিধানিক ও জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থী। গণভোট ছাড়া যে কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দেশের মানুষ চায় ন্যায়ভিত্তিক নির্বাচন—যেখানে তাদের ভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন হবে এবং সংসদে প্রতিফলিত হবে, তাই স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।