সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালাল বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে দালালচক্রের মাধ্যমে রোগীদের প্রভাবিত করে কমিশনের বিনিময়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানোর অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়, এর মধ্যে চারজনকে কারাদণ্ড ও তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।
দুদক জানায়, হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে কিছু অসাধু দালাল চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে যোগসাজশ করে সাধারণ রোগীদের প্রভাবিত করছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কর্মকর্তারা সাধারণ রোগীর ছদ্মবেশে হাসপাতালে প্রবেশ করে দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে হাতে-নাতে সাতজনকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—ইসমাইলপুরের মর্জিনা খাতুন (৬০), চিংড়িখালির মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মো. সাগর হোসেন রনি (২০), শিবপদ বৈদ্যের ছেলে অচিন্ত কুমার বৈদ্য (৪৫), আলমগীর হোসেনের ছেলে আল মামুন বাদশা (২৫), পরানপুরের নিমাই চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে প্রসেনজিৎ কুমার মণ্ডল (৩১), কৈখালীর নূর ইসলাম গাজীর ছেলে রেজাউল গাজী (৪২) এবং বংশীপুরের গৌরপদ ঘোষের ছেলে মিলন কুমার ঘোষ (১৮)।
অভিযান শেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন সাগর হোসেন রনি, মিলন কুমার ঘোষ, রেজাউল গাজী ও আল মামুন বাদশাকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া অচিন্ত কুমার বৈদ্য, প্রসেনজিৎ কুমার মণ্ডল ও মর্জিনা খাতুনকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দুদক কর্মকর্তা জাহিদ ফজল বলেন, “আমরা সাধারণ রোগীর ছদ্মবেশে গিয়ে দালালদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করি। পরে প্রমাণসহ তাদের আটক করা হয়। সমাজের যে কোনো দুর্নীতি ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সংলগ্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অনিয়ম, লাইসেন্স নবায়নসহ অন্যান্য তথ্য উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বলেন,“অভিযানের বিষয়ে আজই জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”