এডিশন ডেস্কঃ
শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে চমকে উঠবেন আধিপত্যবাদের নাম শুনেছি কিন্তু আধিপত্যবাদের ছায়া সরকার বা শ্যাডো গভমেন্টের নাম তো শুনিনি।
আধিপত্যবাদ (Hegemony) হলো একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদ, যার মূল উদ্দেশ্য হলো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র বা জাতি অন্য একটি রাষ্ট্র, সমাজ বা সংস্কৃতির উপর ক্ষমতা, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি ঘটায়। এটা হয়তো অনেকেই জানি কিন্তু আধিপত্যবাদী শ্যাডো গভারমেন্ট হলো আধিপত্য বাদের প্রতিষ্ঠিত পুতুল সরকারকে পরিচালনার জন্য সরকারের পিছনে সরকার বা ছায়া সরকার।
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি আধিপত্যবাদ শক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অন্যান্য আধিপত্যবাদশক্তি গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক ও সামরিক সুবিধা হলেও ভারতীয় আধিপত্যবাদ এদেশে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে তিন দিক থেকে আমাদেরকে ঘিরে ধরেছে।
আমরা এতদিন মনে করছি আধিপত্যবাদ শুধু বন্দুকের নলের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু না, এখন বুঝতে পারছি ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে ৩৬ শে জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত দীর্ঘসময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য করলে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ কিভাবে গোটা জাতিকে গ্রাস করে ফেলেছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে আমাদের জাতিসত্তার সতন্ত্রতা বিনষ্ট হওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। এজন্য ভারতীয় আধিপত্যবাদের মূল বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে আমাদের জাতির প্রতিটি সদস্যকে সুস্পষ্টভাবে জ্ঞাত হতে হবে, কমপক্ষে সুধারণা থাকতে হবে। না হলে আমাদের ঘরে, পরিবারে, অফিসে আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে ভারতীয় আধিপত্যবাদ জেঁকে বসতে আর কালক্ষেপণ করবে না।
বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহের কয়েকটি বিষয় —
১. রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তার
২. অর্থনৈতিক শোষণ ও নির্ভরশীলতা সৃষ্টি–
৩. প্রযুক্তি ও সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রভাব
৪. যোগাযোগ ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাট নির্মাণে প্রভাব বিস্তার
৫.গণমাধ্যম ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে
৬. বিচার ব্যবস্থায় আধিপত্যবাদ
৭. শিল্প ও বাণিজ্যে আধিপত্যবাদ
৮. আদর্শগত বা মতাদর্শগত আধিপত্য
৯. সাংস্কৃতিক কৃষ্টি কালচারে প্রভাব-
১০. সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব
১১. পররাষ্ট্র বিষয়ক বৈদেশিক নীতিতে
১২. শ্রমিক সংগঠন ও সামরিক বাহিনীতে অসন্তোষ সৃষ্টিতে প্রভাব
ভারতীয় আধিপত্যবাদ উল্লিখিত প্রধান প্রধান বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। অনেক সময় আমাদের এই দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে সাম্প্রদায়িক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে চায়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সমূহের উপর আধিপত্যবাদী সিন্ডিকেটের প্রভাবে বাজারে ঘাটতি শুরু হয়ে যায়। উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো লাভ করতে পারলে আধিপত্যবাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তখন তারা নিজেদের পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়ে যায়। পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করেই তারা ক্ষান্ত হয় না, পুতুল সরকারকে পরিচালনা করার জন্য প্রত্যক্ষভাবে নিজেদের লোকবল দ্বারা ছায়া সরকার বা স্যাডো গভমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে।
আধুনিক বিশ্বের আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো টার্গেটকৃত দেশে ছায়া সরকার বা স্যাডো গভারমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা। ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি বিডিআরে সেনা অফিসার হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের শ্যাডো গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩৬ শে জুলাই ২০২৪ সালে আধিপত্যবাদের পুতুল সরকার পালিয়ে গেলেও তাদের প্রতিষ্ঠিত স্যাডো গভমেন্ট এখনও রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন, বিচার এবং দেশ রক্ষা এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ পরিচালনা করার জন্য আছে আধিপত্যবাদের নিয়োগকৃত আমলা ও সৈনিক। এই আমলা ও সৈনিক তারা তৈরি করেছে আমাদের দেশে কিছু অতি লোভী রাজনৈতিক সংস্কৃতিক ও পেশাজীবী নেতাকর্মীদের ক্রয় করার মাধ্যমে। ঐ সকল আধিপত্যবাদী আমলা ও সৈনিকরা এদেশের অভ্যন্তরে এত শক্তিশালী যে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী সেনা বাহিনী কিংবা ভারতীয় আমলাতন্ত্র এদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে যে কাজ করার সাহস পাবে না, সেই কাজগুলো আধিপত্যবাদী আমলা ও সৈনিকরা অনায়াসে সম্পন্ন করে ফেলে। আধিপত্যবাদী ছায়া সরকারের আমলা ও সৈনিকরা আজও এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করছে। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যজনক খবর হলো আধিপত্যবাদী ছায়া সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই বাংলাদেশী, এদেশের সন্তান। তাদের দক্ষতা এবং ক্ষমতা এত বেশি প্রখর যে ভারতীয় যেকোনো মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান যেখানে নাক গলাতে পারেন না, এরা সেখানে নির্দ্বিধায় পা ঢুকিয়ে দেয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় কর্ম সম্পাদন করে নির্বিঘ্নে সরে যায়।
যেমন বিডিআর বিদ্রোহ প্রকাশ্যে শুরু করেছে এদেশের বিডিআর সৈনিকরা, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে আসার প্রয়োজন পড়েনি। বাংলাদেশের সীমান্তে তারা একজন সেনা অফিসারকেও হত্যা করতে না পারলেও এদের মাধ্যমে ৫৭ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী মনোভাব প্রকাশের জন্য বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হয়নি, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ সাহেবকে পত্রিকা অফিস থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করার জন্য ভারতীয় সৈনিকের প্রয়োজন হয়নি। চট্টগ্রামের শীপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রির মালিক জামাল উদ্দিনকে হত্যা করার জন্য কিংবা বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ডাকসুস সাবেক জিএস ইলিয়াস আলীকে হত্যা করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে এদেশে আসতে হয়নি। ভারতীয় আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় বিরোধী জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছয়শো নেতা কর্মীকে হত্যার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হয়নি। ব্রিগেডিয়ার আমান আজমি, ব্যারিস্টার আরমানসহ অসংখ্য দেশ প্রেমিক ব্যক্তিত্বকে গুম করে আয়না ঘরে রাখার জন্য ভারতের মাটিতে নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। এদেশের মাটিতেই আয়না ঘর প্রতিষ্ঠা করে আধিপত্যবাদী সৈনিকদের দ্বারা এসব কাজ অতি সহজেই করা সম্ভব হয়েছে।
আল্লাহ মালুম, হুজুর প্রিয় বাঙালি জাতির কবে বোধদয় হবে। আধিপত্যবাদের পুতুল সরকার বিদায় হয়েছে কিন্তু আধিপত্যবাদের প্রতিষ্ঠিত ছায়া সরকার এখনো এ দেশ শাসন করছে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ গুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করছে। সেদিকে কারো লক্ষ্য নেই, রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে কিভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে তার জন্য মহা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ছে। জোট ভেঙ্গে ফেলছে,ঐক্য নষ্ট হয়ে গেছে, আধিপত্যবাদ বেজায় খুশি, যতই অনৈক্য হবে, ভেদাভেদ বাড়বে, দ্বন্দ্ব- সংঘাত শুরু হবে ততই তাদের জন্য ভালো। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কোনদিনও যেন দাঁড়াতে না পারে এজন্য আধিপত্যবাদের ছায়া সরকার এদেশে অবস্থান করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেই যাচ্ছে।
তারা বিভিন্ন দামে ও প্রলোভনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বেচাকেনা করছে। রাষ্ট্রক্ষমতা ও মন্ত্রীত্বের টোপ দিয়ে বড়শি ফেলে ছিপ ধরে বসে আছে। টোপের সু ঘ্রাণে পাগল হয়ে অনেকেই বড়শির টোপ গিলে ফেলেছে কেউবা আবার এক দুই পা আগাচ্ছে তিন পা পিছাচ্ছে। অন্যদিকে তাদের লালন পালনকৃত নেতা কর্মীরা যেন অতি দ্রুত রাজনৈতিক পার্টি সমূহে নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারেও তারা যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। আমরা আমাদের দেশকে নিয়ে যত না ভাবি, তারা আমাদের দেশকে নিয়ে অনেক বেশি ভাবে। আল্লাহ মালুম, জানিনা দেশে ও জাতির ভাগ্যে কি আছে
হায়রে ক্ষমতা! ২৬ শে জুলাই ২৪ এর ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান কাজ ছিল আধিপত্যবাদী ছায়া সরকারকে সমূলে উৎপাটন করা। রাজনৈতিক দলগুলো আধিপত্যবাদী ছায়া সরকারের বিরুদ্ধে এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি। বরং কেউ কেউ আবার ইতিমধ্যেই আনুকূল্য লাভের চেষ্টা করছে। আধিপত্যবাদের আমলা ও সৈনিকদেরকে প্রতিবাদ করে উৎখাত করা তো দূরের কথা ক্ষমতার লোভে ইতিমধ্যেই অনেকেই আধিপত্যবাদের ছায়া সরকারকে রাজনৈতিক ছায়া দিচ্ছে। সবকিছু দেখেশুনে- না বুঝার ভান করছে। এ সুযোগ আধিপত্যবাদী আগ্রাসন ষোলআনা ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।
তা ইতিমধ্যেই কিছু কিছু প্রকাশ পাচ্ছে, আরো হয়তো অচিরেই প্রকাশ পাবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক কার্গো বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ড আধিপত্যবাদী ছায়া সরকারের পুরনো খেলার নতুন সংস্করণ। এই অগ্নিকাণ্ডে শুধু বিমানবন্দর পুড়েনি, পুড়ছে বাংলাদেশ, পুড়ছে শিল্প বাণিজ্য।
এই অগ্নিকাণ্ড সাধারণ কোন অগ্নিকাণ্ড নয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষতি হয়নি, দেশ ও জাতির ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ী শিল্পপতি সাধারণ ভোক্তা জনগণ চোখের পানি ফেলছে। নিন্দুকেরা এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য হয়তো আধিপত্যবাদী আগ্রাসনকে দোষারোপ করবে। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা আগুন নিভাতে নিভাতে ঘর্মাক্ত হয়ে যাচ্ছে। দূরে দাঁড়িয়ে হাওয়া দিচ্ছে আধিপত্যবাদের ছায়া সরকার।
আধিপত্যবাদী সৈনিক ও আমলারা অনেক আগেই সংগঠিত হয়েছে প্লান প্রোগ্রাম করেছে, এবার বাস্তবায়নের পালা। এর আগেও তারা ২০০১ থেকে শুরু করে ২০০৬ এর ২৮ শে অক্টোবর পর্যন্ত কত অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কত গার্মেন্টসে অগ্নি সংযোগ করেছে, সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, হোটেল শেরাটনের সামনে গানপাউটারে আগুন দিয়ে বিআরটিসি দোতলা বাস যাত্রীসহ পুড়ে ছাই করেছে, জঙ্গি নাটক করেছে, পল্টনে ভাতৃ-ঘাতী লড়াই বাধিয়েছে, লগিবৈঠা দিয়ে, গুলি করে মানুষ হত্যা করে সারা দেশে রাজনৈতিক অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
বিগত ১৭ বছরে কত ভাবে একটা জাতিকে দমিয়ে রাখা যায় তার সব চেষ্টাই তারা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি, তাইতো এখন তাদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটায় বিমানবন্দরে কার্গো স্টেশনে আগুন দিয়েছে। এ আগুন সহজে নিভবে না। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে একে অপরের শত্রু হওয়ার কারণই ওরা সামনে অগ্রসর হওয়ার সাহস পাচ্ছে। এখন যদি ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করে আধিপত্যবাদের ছায়া সরকারকে হটানো না যায়, তাহলে জাতিকে হয়তো এর চেয়েও কঠিন অগ্নিকাণ্ড কিংবা অনেক বড় বিপদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কাঙ্গালের কথা বাসি হলেই ফলে, দোয়া করি আল্লাহ না করুক, এমনটা যেন না হয়।
জয় বাংলা–জিন্দাবাদ, আমরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, মহাব্যস্ত, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিজয়ী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আধিপত্যবাদের ছায়া সরকার নতুন করে জয়বাংলা– জিন্দাবাদ আওয়াজ তুলে এগিয়ে আসছে, প্রধান টার্গেট ইসলামপন্থী, প্রস্তুতি নেই, ঐক্য নেই। ঐক্য কিভাবে হবে, রুটির মূল্য অনেক বেশি, মা ভৈ– মা ভৈ, এভাবেই হয়তো রাতটা কেটে যাবে।
লেখক: ইবনে শাহ
বিশিষ্ট কলাম লেখক ও রাজনীতিবিদ।