খুলনা এডিশন::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন,আমরা অনেকের বক্তব্যের মধ্যে ফ্যাসিবাদের সুর শুনতে পাচ্ছি। পতিত সৈরাচারের মতো তারাও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চায়। ইসলামী আন্দোলন করে আমাদের অনেক নেতা শহীদ হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করলে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। সকল ধর্মের বর্ণের মানুষ সকল সূযোগ সুবিধা ভোগ করবে।
সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে “মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনায় যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি লাভ করা” এ ভিশন কে সামনে নিয়ে ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:-
বিএনপির গুলশান অফিসে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ
তিনি আরো বলেন, ৫ আগষ্টের পরে একটি দল দেশব্যাপী দখলবাজি,চাঁদাবাজি শুরু করেছে। ফ্যাসিষ্টদের মতো তারা লুটপাট শুরু করেছে। জামায়াতে ইসলামী সকল শ্রেণী পেশার মানুষের এসকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্ত করতে চায়। সকলের সহযোগিতায় নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে তালা সরকারী হাই-স্কুল (পুরাতন হাইস্কুলের) মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তালা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ মফিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোঃ ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জতউল্লাহ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বক্তব্য রাখেন, খুলনা অঞ্চলের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, অমুসলিম শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাও: আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির হাফেজ রবিউল বাসার, সাতক্ষীরা জেলা আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, খুলনা মহানগর শিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডাঃ শেখ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী আজিজুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাঃ সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা জেলা যুব জামায়াতের সভাপতি ওমর ফারুক, ছাত্র শিবিরের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি জুবায়ের হোসেন প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে। রাজনীতিতে নতুন স্বৈরাচারের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এদের প্রতিহত করতে হবে। দেশে সব সরকারের আমলে দূর্ণীতি হয়েছে তবে জামায়াতের কোনো এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেনি। দেশের উন্নয়ন, শান্তি, সমৃদ্ধি ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য দাঁড়িপাল্লায় ভোট চান তিনি।
তোমরা নতুন ছাত্র তোমরা ২০২৪ সালে দেশে নতুন জীবন দিযেছ। সেজন্য তোমাদের শ্রদ্ধা করি সন্মান করি তাই বলে জামায়াত ইসলামীর নামে এখুনি উল্টা- পার্টা কথা বলবা তাতো হবে না।
তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে । মানুষ দাড়ি পাল্লায় ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কারন গত ৫ আগষ্টের পর দেশে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করতে করতে আর জায়গা নেই। মানুষ একটু শান্তি চায়। তাই সেই শান্তির প্রতিক দাড়িপাল্রা । এবার ভোটে দাড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে তালা কলারোয়াকে দূর্নীতি মুক্ত সন্ত্রাস মুক্ত করাই বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর একমাত্র লক্ষ।
এডিশন ডেস্ক/এম এমন আই/সাত