এডিশন ডেস্কঃ
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ আসামির বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে গুম–খুন এবং গত জুলাই–আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। হাজির না হওয়া আসামিদের বিষয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ রঙের একটি প্রিজন ভ্যানে করে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
কারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লে. কর্নেল মো. রেদোয়ানুল ইসলাম এবং মেজর মো. রাফাত–বিন–আলম।
এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক— মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে এই তিন মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আসামিদের হাজিরের জন্য জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২০ নভেম্বর এবং ২০২৪ সালের ১৮–১৯ জুলাই রামপুরায় সংঘটিত গণহত্যার মামলার শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেফতার দেখানো সেনা কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে তা সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
আদালতের কার্যক্রমে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।