খুলনা এডিশন::
নওগাঁর সাপাহারে আদাতলা দারুল হেদায়াত দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি পদকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে স্থানীয় বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। অপর প্রার্থী মোকলেছুর রহমান (মুকুল) পরাজিত হলে ওইদিনই সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই জেরে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে পাতাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল গফুরের সমর্থকদের মধ্যে আদাতলা মোড়ে আবারো সংঘর্ষ বাঁধে।
একপর্যায়ে আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে সাপাহার উপজেলা সদর থেকে দুটি মাইক্রোবাসে আসা লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও দোকানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আদাতলা ও জালশুকা গ্রামের আব্দুল গফুর, আনারুল ইসলাম, খাইরুল, আতাবুর, মনিরুল ইসলাম ও মাহাবুল হকসহ নয়টি বসতবাড়ি এবং একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগীদের দাবি, থানা পুলিশের উপস্থিতিতেই ভাড়াটে লোকজন রাতভর হামলা চালিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।
পাতাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, আব্দুল গফুরের সমর্থকরা শুক্রবার রাতে ভাই বোন মার্কেটের একটি ঘরে বৈঠক করে আমাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করে এবং আমাদের তিন কর্মীকে সেখানে আটকে রাখে। পরে আমরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়েছেন, বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি।
উক্ত মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জালাল উদ্দীন বলেন, সভাপতি নির্বাচন সদস্যদের ভোটে সম্পন্ন হলেও দুই পক্ষের চাপের কারণে অনুমোদনের জন্য এখনো তা পাঠানো হয়নি। তবে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে আমি অবগত নই।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।