খুলনা এডিশন::
সাতক্ষীরার দীর্ঘ দিনের জলবদ্ধতার কারন হিসেবে অন্যতম অভিশপ্ত বেতনা নদী খননে তার যৌবন ফিরতে শুরু করেছে ।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ২ এর অধীনে খনন কাজ চলমান থাকায় এবছরের বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ফলে নদী পাড়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
যেখানে গত বছরেও জলবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার হেক্টর মৎস্যঘের, ফসলি জমি, বাড়িঘর তলিয়ে একাকার হয়ে যায়।সেই অভিশপ্ত বেতনা নদী খনন কাজ প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হওয়ায় এবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও এবার আর মানুষকে নতুন করে জলবদ্ধতার কবলে পড়তে হয় নি।
সরেজমিনে বেতনা নদী পাড়ের ভুক্তভোগী মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়,এক সময়কার খরস্রোতা বেতনায় পলিজমে ও ভূমিদস্যুদের শাসনে মরা খালে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন ধরে বেতনা নদীর এমন অবস্থার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর মৎস্যঘের,ফসলি জমি, শত শত বাড়ি ঘর তুলিয়ে একাকার হয়ে যায়। মানুষের দুঃখ দুর্দশার শেষ থাকে না।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার বেতনা নদী খননের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, স্মারকলিপিসহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
অবশেষে সকলের প্রচেষ্টায় বহুল প্রত্যাশিত বেতনা নদী সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ ২ এর অধীনে খনন কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।পুরো খনন কাজ শেষ হওয়ার আগেই আমরা এর সুফল পেতে শুরু করেছি।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,১১৩ কোটি টাকার বাজেটে বেতনা নদী খনন কাজ চলমান রয়েছে, ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬ ও ৮ নম্বর পোল্ডারের অধীনে আগামী ২৬ জুন ২০২৬ সালে খনন কাজ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বেতনা নদী খননের শেষ অবস্থা জানতে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ২ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, খনন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর নিকট থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে যাচ্ছি। কলারোয়া উপজেলা থেকে শুরু ১৪ মিটার প্রস্থ এবং আশাশুনির গাবতলা পর্যন্ত ৬৫ মিটার প্রস্থ হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আগামী এপ্রিল ২০২৬ এর মধ্যে খনন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে ইনশাল্লাহ।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, বেতনা নদীর খনন কাজ প্রায় শেষের দিকে,আমি খনন কাজের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি।এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেছি, দ্রুত খনন কাজ এগিয়ে যাওয়ায় এবারের বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ায় তারা অনেক খুশি।