আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসায় সাক্ষাৎকার চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার খুলনা বিভাগের দশ জেলার প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার এর জন্য ডাকা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত অনেকেই ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন। ফোন না পেয়ে অনেকই হতাশ হয়েছেন। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে অনেকেই উচ্ছাসিত। খুলনা জেলার ৬ টি আসনে যারা ডাক পেলেন তারা হলেন….
খুলনা-১ আসন থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান , পার্থ দেব ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল। গতবছর ১৯ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিলে খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে চাপে পড়েন আমীর এজাজ খান। কেন্দ্রের ফোনকে প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছে তাঁর অনুসারীরা।
জানতে চাইলে আমির এজাজ খান বলেন, ‘দাকোপ-বটিয়াঘাটা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কেউ এখানে নির্বাচনের সাহস করে না। তিনবার পরাজিত হয়েছি কিন্তু মাঠ ছাড়িনি। দল এই কাজের মূল্যায়ন করবে বলে আমার বিশ্বাস ছিল।’
জিয়াউর রহমান পাপুল বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ ও নেতাকর্মীদের অনুরোধে প্রথমবারে মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কাজ করছি। কেন্দ্রের ফোন পেয়েছি, আশা করছি তারা আমার ওপর আস্থা রাখবেন।’ সন্ধ্যায় শেষ মুহূর্তে ফোন
খুলনা-২ আসন থেকে ফোন পেয়েছেন এই আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বর্তমান নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। নগর বিএনপির রাজনীতিতে মঞ্জু প্রায় ৪ বছর ধরে কোণঠাসা। তাঁর আমন্ত্রণকে বিজয় হিসেবে দেখছেন অনুসারীরা।
তবে শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি আমি। এলাকায় কাজ করছি, বিপুল সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি মনোনয়নও পাব।’
শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে প্রবেশ করি। বিভিন্ন সময় মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। এবার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।’
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘প্রার্থীদের তৎপরতা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা সবকিছুর বিষয়ে চেয়ারম্যানের ধারণা রয়েছে। এজন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করি সিদ্ধান্ত নিতে তিনি ভুল করবেন না।’
খুলনা-৩ আসনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
খুলনা-৪ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক ফোন পেয়েছেন। হেলাল আগে আসনটিতে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পারভেজ এবার প্রথম।
পারভেজ মল্লিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। দল যে আমাকে মনোনয়নের জন্য ডেকেছে, এটাকে কাজের মূল্যায়ন বলে মনে করছি।’
খুলনা-৫ আসন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর লবী এবং সাবেক ছাত্রনেতা ইবাদুল হক রূবাইয়াৎ এবং খুলনা-৬ আসন থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছার সভাপতি আবদুল মজিদ, সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন এবং আমিরুল ইসলাম কাগজী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত সমকালকে বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সোমবার খুলনা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে।’