এডিশন ডেস্কঃ
সাতক্ষীরার তালায় এক কওমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এলোপাথাড়ি কুপিয়ে শিক্ষার্থীর মা ও দাদীকে মর্মান্তিক জখম করেছে। এ চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তালা উপজেলার আড়ংপাড়া আকিজ কওমিয়া মাদ্রাসায়।
এঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আবু হুজায়ফাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ডুমুরিয়া উপজেলার সাজিয়াড়া গ্রামের শিহাবুদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, আড়ংপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ওবায়দুল্লাহ (৯) ঐ মাদ্রাসার প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে মারধর করার অভিযোগ পেয়ে তার মা লিমা খাতুন(২৮)ও দাদী মেহেরুননেছা বেগম (৬০) মাদরাসায় গিয়ে ঘটনা জানতে চান। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক হুজায়ফা তাদের রুমের ভিতরে ডেকে নিয়ে লিমা খাতুনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। এতে তার বাম হাতের তিনটি আঙুল কেটে পড়ে যায় এবং মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।
চিৎকার শুনে দাদী মেহেরুননেছা বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মেরে জখম করেন। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও দাদীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা একটি বে- সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসা ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটি এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈনউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।