খুলনা এডিশন::
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার কোলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০৬ সালের জাল সনদ ব্যবহার করে দীর্ঘ ১৮ বছর শিক্ষকতার অভিযোগ উঠেছে এক নারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে ফাতেমা বেগম পিতা আবদুল কাইয়ুম মন্ডল,স্বামী আবু খালেদ, সহকারী শিক্ষিকা বাংলা, জাল নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে চাকরি করেছেন বলে, এনটিসিআরএ( পরীক্ষা মূল্যায়ন পত্যায়ন ২) সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত যাহার স্বারক নম্বর ০৩৭,০৫,০০০০,০১,০৫,০০০২,২৫/১০৯৬ স্বারকে জানা যায়।
উক্ত সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম, রোল নম্বর ২১০১০১১৭, রেজিষ্ট্রেশন ৬১০২২৮/২০০৬ ২য় শিক্ষক নিবন্ধন বাংলা, আমার প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত ফলাফলের সঙ্গে কোন মিল নেই, এবং প্রত্যয়ন পত্রটি সঠিক নহে, সনদটি ভুয়া ও জাল, মর্মে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে গত ১৩/১০/২৫ ইং তারিখে পত্র দিলে, বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক জনাব পার্থ কুমারের সুকৌশলীতে গত ১৮ অক্টোবর সহকারি শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম পদত্যাগ করেছেন।
এতে প্রায় সরকারের ৩০ লক্ষ টাকার ও বেশি অর্থ আত্মসাৎ এর সামিল বলে স্বচেতন শিক্ষকদের ধারনা ।
ফাতেমা বেগম ২০০৮ সালে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জাল সনদ ব্যাবহার করে চাকরি নিয়েছিলেন। এবং গত ২০২০ সালে উচ্চতর স্কেল ও গ্রহণ করেন। জাল সনদের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ-তে প্রেরণ করেছিলেন। এনটিআরসিএ যাচাই বাছাই অন্তে গত ১৩ অক্টোবর তার সনদ জাল ও ভুয়া বলে প্রতিবেদন প্রেরন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পার্থ কুমারের সঙ্গে গত ২৭ অক্টোবর মোবাইল ফোনে উক্ত শিক্ষিকার সনদ জাল। ভুয়া পত্র পেয়েছেন কিনা, এবং জানেন কি না, তিনি কোন পদত্যাগ পএ জমা দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে, তিনি দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক ঘোষণার উপজেলা সাংবাদিক কে বলেন, ভাই অফিসে আসেন অফিসিয়াল সব কথা মোবাইলে বলা যায় না , চা এর দাওয়াত বলে মোবাইল ফোন টি কেটে দেন। গোপন সুএে জানা যায় প্রধান শিক্ষক পার্থ কুমার ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটে চাকরি ছাড়ার ও পদত্যাগের কৌশলে সহযোগিতা করছেন এবং তার পদত্যাগ পএ জমা নেন।
বিদ্যালয় এর সভাপতি ফিরোজ হোসেন অলির কাছে মোবাইল ফোনে শিক্ষিকা ফাতেমার পদত্যাগ বিষয় টি সঠিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মানুষ মুখে শুনতেছি,কিন্তু প্রধান শিক্ষক এখন ও আমাকে জানাইনি।
তার সনদ জাল ভুয়া পত্র পেয়েছেন কি জানতে চাইলে, তিনি বলেন বিষয় টি শুনেছি প্রধান শিক্ষক পেয়েছেন, আমি এখনো দেখিনাই।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমা বেগম জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, অথচ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা গোপন রেখেছিলেন কেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো এনটিআরসিএ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—ফাতেমা বেগম কর্তৃক দাখিলকৃত প্রত্যয়নপত্রটি জাল ও ভুয়া। তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। উক্ত জাল প্রত্যয়নপত্রধারী ব্যক্তি আইনগত ভাবে অপরাধের সামিল ।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ফাতেমা বেগম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, এবং মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন। মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “আমি অফিসিয়ালি এনটিআরসিএর প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি। প্রতিবেদন পাওয়া মাত্রই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও আত্মসাৎকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রতানের দাবি জানিয়েছেন। গোপন সূত্রে জানা যায় উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন, কি বলিব দুঃখের কথা, শিক্ষক যদি জাল ভুয়া হয়, তাহলে শিক্ষা কেমন হবে। আগে শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড ছিল, বর্তমানে শিক্ষা বিবেকের মেরুদণ্ড হওয়া উচিত। এ জীবন করিব গঠন, মরনে হাঁসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন