সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের অবৈধ কার্যকলাপ ও সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল এর উপর পরিচালক এ কে এম মাহফুজুর রহমান খুলনা-তে গত ১৬ অক্টোবর’২০২৫ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি উক্ত অভিযোগের বিষটি তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার, সাতক্ষীরা-কে দায়িত্ব দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ব্যতিরেকে বিনা টেন্ডারে ১৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট প্রশস্ত পুরাতন ভবনটির ইট, দরজা, জানালার গ্রিল ও আসবাবপত্র বিক্রয়ের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনুকূলে সরকার ফিউশন ফি দিয়ে থাকেন। তাদের নিকট থেকে মাসিক বেতন নিতে নিষেধ থাকলেও তিনি নিয়মিত বেতন নিয়ে থাকেন।
বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পূর্বে একবারের জন্য দাতা সদস্য বাবদ এসএম শফিকুল ইসলামের দেয়া ২০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
কোন শ্রেণীতে ছাড়ে না বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে কোন শাখা চালু না থাকার সত্ত্বেও তিনি এনটিআরসির মাধ্যমে ১/১/২৪ তারিখ হতে অতিরিক্ত শিক্ষক গ্রহণ করে সরকারকে আর্থিকভাবে ক্ষতি করছেন।
চতুর্থ শ্রেণীর পদে চাকুরী দেওয়া চুক্তিতে ৩জন ব্যক্তির নিকট হতে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যথাক্রমে-সি,আর ৭৪০/২২, ৭৬৯/২২এবং ৭৭০/২২ নং ।
বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। প্রধান শিক্ষক ঠিকাদারের নিকট হতে একটি ল্যাপটপ চাঁদা বাবদ নিয়ে তাকে নামমাত্র কাজ করার সুযোগ করে দেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতিকে দিয়ে রেজুলেশন করিয়ে নিজের ব্যক্তিগত সম্মানী বাবদ মাসিক ৫০০০ টাকা হারে গ্রহণ করছেন। যাহা সম্পূর্ণ বিধি বর্হিভুত।
তিনি ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নতুন ৫ তলা ভবনের চেয়ার, টেবিল অতি নিম্নমানের কাঠ লাগাতে সহযোগিতা করেন।
দরজাগুলি চাপালিশ কাঠের লাগানোর কথা থাকলেও তিনি নিম্নমানের কাঠ লাগাতে সহযোগিতা করেন। প্রধান শিক্ষকের এহেন কার্যকলাপে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠলে তিনি ঠিকাদারের নিকট থেকে বিদ্যালয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম, বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বিক্রয় করে আত্মসাৎ, অষ্টম শ্রেণীর সনদ বিক্রয়সহ অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, একটু চুপ করি বল আমার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এ ধরনের কোন কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা না। যা করা হয়েছে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হয়েছে।