খুলনা এডিশন::
খুলনার পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রত্যুষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাইকগাছা পৌরসভা, পাইকগাছা থানা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্র, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, পাইকগাছা সরকারি কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ, আইনজীবী সমিতি, পাইকগাছা প্রেসক্লাব, সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ৮ টায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে মার্চপাস্ট ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ, আনসার, স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্যারেড ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিন ব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। ১১ টায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বিকাল ৪ টায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা প্রশাসনের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা এবং সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিণী ডা: ফারজানা ইয়াসমিন লিসা,
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ফজলে রাব্বী, অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া, খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও খুলনা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন গাজী, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সমরেশ রায়, ওসি তদন্ত ইদ্রিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব, দেবাশীষ সরদার, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সুজন কুমার সরকার, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হক, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আসলাম পারভেজ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম ইমদাদুল হক, পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, জামায়াত নেতা প্রভাষক আব্দুল মোমিন সানা সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।