এডিশন ডেস্কঃ
ঢাকা-১৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জননেতা মোঃ মোবারক হোসাইন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা কোনো বিলাসিতা নয়; এটি প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক ও মানবিক অধিকার। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে সেই অধিকারকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।

তিনি আজ রাজধানীর আদাবর থানা মহিলা বিভাগ আয়োজিত “দুস্থ মানবতার কল্যাণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প”-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু ও প্রবীণ নাগরিক বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ গ্রহণ করেন। স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়।
🩺 জননেতা মোবারক হোসাইন বলেন, একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে। চিকিৎসা, শিক্ষা, খাদ্য ও নিরাপত্তা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। সমাজ থেকে বৈষম্য, দুর্নীতি ও অবহেলা দূর করে প্রকৃত মানবিক সেবা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। ইসলামী নেতৃত্ব মানেই জবাবদিহিতা, সুশাসন ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত মনোভাব। সেই আদর্শেই আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। ওষুধের দাম আকাশচুম্বী, হাসপাতালগুলোতে বিশৃঙ্খলা, আর সরকারি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। ইসলামী সমাজব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা হবে জনগণের মৌলিক অধিকার—কোনো শ্রেণিবিশেষের সুবিধা নয়।
তার এ আবেগময় আহ্বানে উপস্থিত জনতা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানান। তারা বলেন, আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যারা জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভাবে + শুধু ভোটের সময় নয়, সারাবছর মানুষের পাশে থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিভাগের জোন পরিচালিকা মুহতারামা নাজমুন নাহার, এবং সঞ্চালনা করেন আদাবর থানা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মুহতারামা উম্মে রাব্বে আরমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন — ঢাকা-১৩ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক ডা. শফিউর রহমান, আদাবর থানা জামায়াতের আমীর মোঃ আল-আমিন সবুজ, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য তারিফ হাসান, এছাড়াও স্থানীয় মহিলা বিভাগ, যুব, সমাজকল্যাণ ও স্বেচ্ছাসেবক শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ।
আয়োজকরা জানান, রাজধানীর আরও কয়েকটি এলাকায় এ ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। দরিদ্র, অসহায় ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।