খুলনা এডিশন::
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে দুর্ঘটনা রোধ ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মোটরযান চালকদের অংশগ্রহণে ট্রাফিক সচেতনতামূলক এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার নগরীর শিববাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
র্যালি শেষে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন, পুলিশ কারো প্রতিপক্ষ নয়। আমরা ইজিবাইক চালকদের অযথা জরিমানা করতে চাই না। ইজিবাইক চালকরা স্বল্প আয়ের মানুষ, তারা পরিশ্রম করে ইনকাম করে। তারা যদি ডানে বামে যাত্রী না উঠায়, লেন মেনে গাড়ি চালায়, ফুটপাথ ঘেঁষে যাত্রী উঠা নামা করে, মোড়ে যানজট সৃষ্টি না করে নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়ায়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে, যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে, তাহলে তাদেরকে জরিমানা বা মামলার কবলে পড়তে হবে না। ইজিবাইক চালকরা যাতে ডানে বা বামে যাত্রী না তোলেন, সে বিষয়ে কমিশনার মহোদয় নির্দেশনা প্রদান করেন। ইজিবাইক চালকরা আজ র্যালিতে অংশগ্রহণ করে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন-তারা নিয়ম মেনে গাড়ি চালাবেন, ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন।
তিনি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন-আপনারা যত্রতত্র ইজিবাইক থামাবেন না, নিয়ম মেনে বাম দিক দিয়ে গাড়িতে উঠানামা করবেন। চালকের ডানে/বামে বসবেন না। রাস্তায় চলাচলের সময় ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন।
আমরা ৭৯০০ ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। অবশিষ্ট ইজিবাইক চালকদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতোপূর্বে রাস্তায় চলাচলের নিয়ম না জানায় তারা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে যানজট তৈরি করতো, কিন্তু ট্রেনিং দেওয়ার পর তারা নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে পারছে। বেশি ভাড়ার লোভে ফাঁদে পড়ে যেন সর্বস্ব হারাতে না হয় এবং নিজের নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখতে হয়-সে বিষয়েও কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকল চালককে সজাগ ও সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।
নিরাপদ শহর, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আমাদের এই কার্যক্রম আরও ১০টি লোকেশনে আগামী ১০ দিন চলবে। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য-স্থানীয় মানুষকে সচেতন করে তোলা এবং চালক যাত্রী ও পথচারীদের করণীয় সম্পর্কে নগরবাসীর কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আমরা যদি সকলেই নিয়ম মেনে রাস্তায় চলাচল করার অভ্যাস গড়ে তুলি, তাহলেই খুলনা মহানগরকে নিরাপদ ও যানজটমুক্ত শহর হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এসময় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) জনাব আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) জনাব মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড প্রটোকল) জনাব মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ, পিপিএম-সেবা,ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব সুদর্শন কুমার রায় ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ, মোটরযান চালক, সিএনজি চালক, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।