1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাগেরহাটে স্কুলের দেয়াল ভেঙে ছাত্র নিহত: এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের শিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ় ভূমিকা রাখতে হবে- সেলিম উদ্দিন মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়লেন যেসব হেভিওয়েট নেতারা ঢাকা ১১ আসনে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম যশোর -১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন তৃপ্তি সিরাজগঞ্জ জেলার ০৬ টি আসনের মধ্যে ০৫টি আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা  ঢাকা ১৩ আসনে মহিলা জামায়াতের নির্বাচনী কর্মশালা তালায় হাজরাকাটি ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ঔষধ বিতরণ যশোরে ৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত সাতক্ষীরা থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা,বাদ পড়লেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা

২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড ছিলো দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

খুলনা এডিশন::

 

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ধ্বসের পথ উম্মুক্ত করা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

তিনি সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪.৩০ টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈইঠার নির্মম আঘাতে শাহাদাৎবরণকারীদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মু. আতাউর রহমান সরকার, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি প্রমূখ।

 

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, ২৮ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী-বাকশালীরা দেশে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছিলো। সেদিন ছিলো ৪ দলীয় জোট সরকারের মেয়াদ পূর্তির দিন। সংবিধান অনুযায়ি একটি নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার গঠনের মাধ্যমে সে সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু অতি তুচ্ছ অজুহাতে আওয়ামী সাংবিধানিক সে সরকারকে মেনে নিতে রাজী হয়নি বরং কথিত আন্দোলনের নামে সারাদেশেই এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলো।

পরে বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সংকট নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক করে কোন সমাধানে উপনীত হতে পারেন নি। এটা ছিলো সে সময়ের দেশের বৃহত্তম দু’দলের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

ফলে ২৮ অক্টোবর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারপরও রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হয়।

কিন্তু আওয়ামী নৈরাজ্য থেমে থাকে নি। এক সময় সরকারের উপদেষ্টারা পদত্যাগ করা শুরু করেন। সে সুযোগেই ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীনরা ১/১১-অভ্যুত্থান ঘটাতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন,১/১১ কথিত জরুরি সরকারের কোন সাংবিধানিক ভিত্তি ছিলো না বরং সে সরকার অদ্ভূত প্রকৃতির বেআইনী সরকার। এ সরকারের কাজই ছিলো আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন। তিনি ২৮ আক্টোবরের কথা আবারো স্মরণ করে বলেন, মূলত, পল্টন হত্যাযজ্ঞ নিছক কোন হত্যাকাণ্ড ছিলো না বরং তা ছিলো দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। সেদিন খুনীরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং লাশের ওপর নৃত্য করে দানবীয় উল্লাসে মেতে ওঠেছিলো।

আইয়্যামে জাহেলিয়াতে এ ধরনের নির্মমতা লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারাই তা সম্ভব হয়েছিলো। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও এসব খুনীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। তিনি ২৮ অক্টোবরের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের শাহাদাত কবুলিয়াতের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ারার দরবারে দোওয়া করেন।

ড. মুহাম্মদ রেজউল করিম বলেন, ২৮ অক্টোবরের খুনীরা প্রকাশ্য রাজপথে মানুষ হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং লাশের ওপর দানবীয় মাতম চালিয়েছে। শহীদরা জীবন দিয়েছেন কিন্তু বাতিলের কাছে মাথা নত করেন নি। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিবোধ আন্দোলনের ভিত্তি প্রস্তর হয়েছিলো।

২০২৪ সালে আবু সাঈদ এবং মুদ্ধের মাধ্যমে তা পূর্ণতা পেয়েছে। তাই ২৮ অক্টোবরের চেনতায় পরিপূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য আসন্ন নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার বিকল্প নেই। তিনি দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান মূসা বলেন, পল্টন শহীদরা আমাদেরকে জীবন দিতে শিখিয়েছে। তাই আমাদের জন্য হতাশার কিছু নেই বরং শহীদি তামান্না নিয়েই আগামী দিনে নিজের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট