1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:
২০ জুলাইয়ের পর ১ দফার ঘোষণা পর্যন্ত নাহিদের আর কোনো ভূমিকা কারও জানা আছে কিনা জানি না: কেফায়েত শাকিল নাহিদের ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সাদিক কায়েমের চ্যালেঞ্জ সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের , মনোনয়ন পিআর পদ্ধতিতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক : পিআর ঘিরে উত্তেজনা রিয়াদ যে নাহিদ ইসলামের শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম : জুলকারনাইন কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা জাতীয় সনদে স্বাক্ষর নিয়ে যে বার্তা দিলো জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির কোনো বার্তা নেই : সেনাবাহিনী দলীয় প্রতীক থাকছে না সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ৫-৬ দিনে বুঝব আমরা কোথায় যাচ্ছি : প্রেস সচিব

জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় কাল, খালাসের প্রত্যাশা আইনজীবী-নেতাকর্মীদের

মেহেদী হাসান আনাস, বার্তা সম্পাদক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে
News58632 L33
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম

ঢাকা অফিস:

জামায়াতের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় কাল ঘোষণা করবেন আদালত। কয়েক দফায় শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তার মুক্তির প্রত্যাশা করছেন। দাবি,তাকে রাজনৈতিক কারণে ফ্যসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অনুগত বিচারকরা তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা অভিযোগে দণ্ড দিয়েছেন।  আপিল বিভাগের রায়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাবেন এমনটি প্রত্যাশা করছেন তার আইনজীবী শিশির মনির।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আশা করছি এ টি এম আজাহারুল ইসলাম আপিলের রায়ে খালাস পাবেন।’

এর আগে গত ৮ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড.  সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন  অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিনসহ জামায়াত নেতারা।

এর আগে গত ৬ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ

গত ২২ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ৬ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন সর্ব্বেোচ আদালত। একইসঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়।

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর  প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা এটাই প্রথম কোনো মামলা যে মামলায় রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দিলেন আদালত।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়।

গত  ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য্য মঙ্গলবার ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। আদালতে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু ওই দিন শুনানি হয়নি। রিভিউ আবেদনটি শুনানি হওয়া প্রয়োজন। আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর  মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।

এদিকে জামায়াতের এই প্রবীণ নেতার মুক্তির জন্য দলটির শীর্ষ নেতা ডা. শফিকুর রহমান স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। করেছেন বড় সমাবেশও। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটি ন্যায্য বিচার পাবেন বলে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। তবে বিচারিক দীর্ঘ সূত্রিতা অনেক ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভেরও জন্ম দিয়েছে। তারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দলটির অনেক নেতা বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। কিন্তু জামায়াতের নেতাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে ব্যতিক্রম। যা মেনে নেয়ার মতো নয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট