ঢাকা অফিস:
দীর্ঘ বিরতির পর যখন মাঠে ফেরেন, তখন প্রত্যাশার চেয়ে ছিল প্রমাণ করার তাগিদ। কিন্তু পিএসএলের ফাইনালে লাহোর কালান্দার্স একাদশে জায়গা হয়নি সাকিব আল হাসানের। এরপরও সতীর্থদের চোখে তিনি ছিলেন দলের ‘অলিখিত নেতা’। আর শিরোপা উদযাপনের মঞ্চে পাওয়া সম্মান ছুঁয়ে গেল বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের মন।
টুর্নামেন্টে দলের হয়ে মাঠে নামলেও, ফাইনালের একাদশে জায়গা পাননি সাকিব। কিন্তু সাফল্যের রাতেও ভুলে যায়নি তাকে লাহোর। ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মুহূর্তে দলের মালিক সামিন রানা ও অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি সম্মান জানালেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে, ডাকলেন স্টেজে, অনুরোধ করলেন কিছু বলার জন্য।
সাকিবের চোখে মুখে তখনও আবেগের ছায়া, কণ্ঠে গর্বের দীপ্তি। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মান। আগের দুটি শিরোপা জয়ের সময় আমি দলের অংশ ছিলাম না, কিন্তু এবার এই বিশেষ জার্নির সঙ্গী হতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিএসএলে ফেরাটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ৬ মাস পর ক্রিকেটে ফেরা সহজ ছিল না। ধন্যবাদ সামিন ভাই, ধন্যবাদ শাহীন—এই দলে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকব। আবারও দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবাই একে অপরের জন্য দোয়া করব এবং আমি সবসময় লাহোর কালান্দার্সের অংশ হিসেবেই নিজেকে ভাবব।’
দলের সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত সময়কেও স্মরণীয় করে রেখেছেন সতীর্থরা। পাকিস্তানের হারিস রউফ কিংবা জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজার মতো ক্রিকেটাররা ছিলেন সাকিবের বক্তব্যে মুগ্ধ শ্রোতা। একদিকে অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে মানবিকতার ছোঁয়া—সাকিব যেন হয়ে উঠেছিলেন দলের এক অনন্য অনুপ্রেরণা।
এই আসরে বড় ইনিংস বা চোখধাঁধানো স্পেল হয়তো আসেনি তার কাছ থেকে, কিন্তু দলের ড্রেসিংরুমে সাকিবের উপস্থিতিই যেন ছিল লাহোরের আত্মবিশ্বাসের বড় চালিকাশক্তি। শিরোপা জয়ের উৎসবে তাই কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার বার্তা দিয়েই শেষ করলেন নিজের ছোট্ট কিন্তু অর্থবহ পিএসএল অধ্যায়।