1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:
২০ জুলাইয়ের পর ১ দফার ঘোষণা পর্যন্ত নাহিদের আর কোনো ভূমিকা কারও জানা আছে কিনা জানি না: কেফায়েত শাকিল নাহিদের ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সাদিক কায়েমের চ্যালেঞ্জ সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের , মনোনয়ন পিআর পদ্ধতিতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক : পিআর ঘিরে উত্তেজনা রিয়াদ যে নাহিদ ইসলামের শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম : জুলকারনাইন কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা জাতীয় সনদে স্বাক্ষর নিয়ে যে বার্তা দিলো জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির কোনো বার্তা নেই : সেনাবাহিনী দলীয় প্রতীক থাকছে না সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ৫-৬ দিনে বুঝব আমরা কোথায় যাচ্ছি : প্রেস সচিব

সরকারকে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

খুলনা এডিশন নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে
Tarek
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

ঢাকা অফিস:

অতিপ্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা তার আগেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দলের পক্ষে যেসব বুদ্ধিজীবী ও নেতা-নেত্রী টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেন, তাদের নিয়ে এক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।

গতকাল বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ও দলীয় নেতা-নেত্রী টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যারা কথা বলেন, তাদের সঙ্গে বিশেষ এ বৈঠক করেন তারেক রহমান। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পেশাজীবী, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদসহ ৬২ বিশিষ্ট ব্যক্তি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন তারেক রহমান।

বৈঠকে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলতে হবে, সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে মূল কথা ছিল, চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা তার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি কালবেলাকে জানান, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, দ্রুত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় দেখতে চান। সংস্কার শেষে ডিসেম্বর বা তার আগেই নির্বাচন সম্ভব।’ এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী, লেখক, টকশো ব্যক্তিদের কথা ও যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে দলীয় নির্দেশনা দেন

তারেক রহমান। চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে কীভাবে কথা বলতে ও লিখতে হবে, সে বিষয়েও তাগিদ দেন তিনি।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে কয়েকজন টকশো ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং কয়েকজন উপদেষ্টার ‘দুর্নীতি’র

ব্যাপক সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। কোথাও সরকারের কোনো ব্যর্থতা হলে বা অঘটন ঘটলে, সেটি ঢাকতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাত্র ৯ মাসেই কয়েকজন উপদেষ্টা ও তাদের সুবিধাভোগীরা যেভাবে অর্থ-সম্পদের অধিকারী হয়েছেন, তাতে বোঝা যায় আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের কী অবস্থা হবে। ফলে এ সরকারের প্রতি সমর্থন থাকলেও সরকারকে অতিদ্রুত নির্বাচনমুখী হতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজনের কথা শুনে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, সংস্কার শেষে ডিসেম্বর বা তার আগেই নির্বাচন সম্ভব। এ বিষয়ে নানাভাবে যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে হবে। বিশেষ করে সরকারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রেখেই দ্রুত নির্বাচনসহ দেশের চলমান সংকটের সমাধান চান রাজনীতিকরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জনের পরদিন রাজনীতিবিদদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন। কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমের কাছেও মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাদের বেশিরভাগই চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থেকে ঐক্য বজায় রাখার পক্ষে। অধিকাংশ রাজনীতিক মনে করেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়ারে রাখতে হবে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, ড. ইউনূস পদত্যাগ করলেই সব সংকটের সমাধান হবে—এটি মনে করার কারণ নেই। এতে বরং সংকট আরও তীব্র হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিপ্লবের মূল চেতনাও।

এ ছাড়া গত রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি নিবাস যমুনায় দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দুই পর্বে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় আশ্বস্ত করে বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় আর বাড়বে না এবং নিজের ক্ষমতাও দীর্ঘায়িত করতে চান না। জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এপ্রিলের পর কোনোভাবেই আর সময় গড়াবে না। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা।

মূলত মিয়ানমারের রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’, চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়া, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে শপথ পড়ানো নিয়ে অচলাবস্থা, নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ বেশকিছু ইস্যু ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট