1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  3. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  4. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  5. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  6. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  7. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:
প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল, হামলা হতে পারে ইরানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: সেই দ্বৈরথ দেখতে চান শান্তও ভারতে ২৫০ যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমানুষের ইচ্ছা আগে সংস্কার ও বিচার তারপর জাতীয় নির্বাচন: মোবারক হোসাইন ইলিশের প্রজনন রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ঈদের ছুটিতে বাসার সর্বস্ব লুট, দুই চোর রিমান্ডে দলীয় আত্মবিশ্বাসেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বিশ্ববাজারে নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে : ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

ইলিশের প্রজনন রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে

খুলনা এডিশন নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে
Image 195688 1749624833
সমুদযাত্রার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন উপকূলের জেলেরা।

ঢাকা অফিস : 

ইলিশের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে হচ্ছে বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে। ইতোমধ্যে সমুদযাত্রার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন উপকূলের জেলেরা।

দীর্ঘ দুই মাস পর ফের সমুদ্রে মাছ ধরতে নামছেন উপকূলীয় জেলেরা। নীল জলরাশির বুকে এবার তারা পাড়ি দিবেন এক বুক স্বপ্ন, কিছুটা শঙ্কা আর অনেকটা প্রত্যাশা নিয়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রজুড়ে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। ট্রলার পরিষ্কার, জাল সেলাই, ইঞ্জিন মেরামত, বরফ ও খাদ্য মজুতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারো জেলে। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।

জানা গেছে, ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিল সরকার। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সময়ের অসামঞ্জস্যতা এবং জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার সময় পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নির্ধারণ করা হয়।

এ সময়ে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। আইন ভঙ্গকারীদের জেল ও জরিমানাও দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশা এবার সমুদ্রে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় অনেক প্রকৃত জেলে সরকারি প্রণোদনার চাল পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

আলীপুর বন্দরের এক জেলে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে সমুদ্রে যাই। কিন্তু এখনো সরকারি প্রণোদনার তালিকায় আমার নাম নেই। বরং দেখেছি, যারা জেলে নয় তারাও চাল পেয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত জেলেদের তালিকাভুক্ত করা হোক।

জেলে কাদের পহলান বলেন, ৫৮ দিন ধরে ধারদেনা করে চলেছি। সরকার যে চাল দিয়েছে, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয়নি। এখন সমুদ্রে নেমেও যদি ইলিশ না পাই, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে।

মান্নান নামে আরেক জেলে বলেন, আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করেছি। এখন সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, এবার কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে।

মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা মিয়া বলেন, জেলেরা সঠিকভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে। আশা করছি, মাছের সরবরাহ বাড়বে। এতে বাজারে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে। ব্যবসাও জমে উঠবে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ছিল ইলিশের উৎপাদন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা। আমরা সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছি। জেলেরা সরাসরি সুফল পাবে। প্রণোদনার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট