ঢাকা অফিস :
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমেরিকানদের সাহায্য চাইছেন। এক ভিডিওবার্তায় তিনি ইংরেজিতে এই সাহায্য কামনা করে বলেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় লড়াই করছে। খবর বিবিসির।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ও ২৫০ বছর ধরে স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা মার্কিন সেনাবাহিনী ও জনগণকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের শত্রু তোমাদেরও শত্রু। আজ বা কাল— ওরা সবাইকে হুমকিতে ফেলবে।
প্রমাণ উল্লেখ না করেই তিনি দাবি করেছিলেন, যদি ইসরায়েল পদক্ষেপ না নিত, তাহলে ইরান তাদের প্রক্সি গ্রুপ যেমন হিজবুল্লাহ ও হামাসকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে পারত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন জনগণ এবং বিশ্বের আরও অনেকের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে যে হামলা হয়েছে, এর সাথে ওয়াশিংটনের কোনো সম্পর্ক নেই। রোববার সকালে নিজের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আজ রাতে যে হামলা হয়েছে, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।’
ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ইরান যদি যে কোনো উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে মার্কিন সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ শক্তিতে ও অল্প সময়ের মধ্যেই পাল্টা আঘাত হানবে।’
তবে তিনি আশাবাদও প্রকাশ করে বলেন, চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা চাইলে সহজেই এই রক্তক্ষয় বন্ধ করার সমাধান দিতে পারি।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে পারমাণবিক সমঝোতায় পৌঁছাতে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। যদি সমঝোতা না হয় তাহলে পরিণতি ভালো হতে পারবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি করেছিলেন।
ইরানে হামলা শুরু হওয়ার পরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ওনাদেরকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, আজ হচ্ছে সেই আলটিমেটামের ৬১তম দিন।’