ঢাকা অফিস
ইসরায়েলকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা, যুদ্ধ, দমন-পীড়ন ও ধ্বংসের চিত্র আজ বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট। অনেক মুসলমানই মনে করেন, কোরআনে বর্ণিত কিছু আয়াতে ইসরায়েল বা বনি ইসরাঈল জাতি সম্পর্কে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, যা আজকের বাস্তবতার সঙ্গে মিলে গেছে।
আল্লাহর দেয়া নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে দুনিয়ার মোহে ডুবে গিয়েছে। আজকের ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের সহযোদ্ধারা যেন সেই একই পথেই চলছে—সত্য গোপন করছে, বর্বরতাকে শান্তি বলে প্রচার করছে।
আল-বাকারা: ৪২-তে এর পরিস্কার ইঙ্গিত আছে: “তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না।”
আল-কুরআনের সূরা বনী ইসরাঈলে (সূরা ইসরা), আল্লাহ তায়ালা বলেন—
“আর আমি বনী ইসরাঈলদের কিতাবে বলে দিয়েছিলাম, ‘তোমরা অবশ্যই দুইবার পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং অত্যন্ত অহংকারে বাড়াবাড়ি করবে।’”
—(সূরা বনী ইসরাঈল: আয়াত ৪)
এই আয়াতে ইঙ্গিত রয়েছে, বনি ইসরাঈল জাতি ইতিহাসে দুইবার ফিতনা ও বিপর্যয় ঘটাবে। অনেক আলেম মনে করেন, তাদের প্রথম ফিতনা ছিল নবীদের অমান্য করা ও হত্যা এবং দ্বিতীয়টি হলো বর্তমান দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের মাধ্যমে নিরীহ মানুষের উপর দমন-পীড়ন চালানো।
একই সূরার ৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে—
“…আর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় আসবে, তখন আমি শত্রুদের তোমাদের মুখমণ্ডলে অপমানিত করে ফিরিয়ে দেব, এবং তারা মসজিদে প্রবেশ করবে যেমন প্রথমবার প্রবেশ করেছিল, এবং তারা যা কিছু দখল করবে, ধ্বংস করে দেবে।”
এই আয়াতকে অনেকে ইসরায়েলের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবেও দেখেন। কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, যখন সীমা লঙ্ঘন ও জুলুম চূড়ান্তে পৌঁছায়, তখন আল্লাহ নিজেই ফয়সালা করেন।
বর্তমানে গাজা, পশ্চিম তীর ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন, অসংখ্য বেসামরিক মানুষের মৃত্যু, মসজিদ-অভ্যন্তরে হামলা—এসব দেখে বহু মুসলমান বলছেন, কোরআনে উল্লেখিত ভবিষ্যদ্বাণীর প্রেক্ষাপট যেন আরও একবার বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ মনে করেন এবং কোরআনের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটিকে একটি ঐশী হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন।