ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার মনপুরায় গলায় ফাঁস দেওয়া তানিয়া (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ২টার দিকে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাকুচিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূ ওই গ্রামের ইউনুস মিয়ার মেয়ে এবং ১ সন্তানের জননী।
নিহতের বাবা ইউনুস মিয়া জানান, দেড় বছর আগে একই উপজেলার চর জহিরউদ্দিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসলাম মাঝির ছেলে সজিবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তানিয়ার। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার জীবন সুখের ছিল। ২ মাস আগে তানিয়ার একটি ছেলে সন্তান হয়। নাতির আকিকা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে জামাই সজিব তার ফুফাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়েছেন। এ নিয়ে সজিবের সঙ্গে প্রায় সময়ে ঝগড়া হয় তানিয়ার। এছাড়াও প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বললে তাকে মারধরও করা হয়। পরে গেল ১০ জুন বিকেলে তানিয়া বেড়াতে আসেন বাবার বাড়িতে। পরে গতকাল রাতে সজিব তাদের বাসায় আসে এবং রাতের খাওয়া শেষ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত ২টার দিকে নাতির কান্নায় ঘুম ভেঙে তানিয়ার মা তানিয়াকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেন।
তানিয়ার বাবা ইউনুস মিয়া সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাই যখন যা চেয়েছে, তাই দিয়েছি। তার পরেও আমার আদরের মেয়েকে বাঁচতে দিলো না। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে, তানিয়ার লাশ রেখে তার স্বামী সজিব পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।রাজনীতির উপর বই
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবির জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে স্বামী সজিবকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মারধরের কারণে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারেন তানিয়া। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।