ঢাকা অফিস :
একসময় যত দূর চোখ যেত, পাথর আর পাথর দেখা যেত। এখন সেখানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর ধু–ধু চর। লুটতরাজের কারণে পাথরসাম্রাজ্য সিলেটের কোয়ারি ও নদ-নদীগুলো এখন প্রায় পাথরশূন্য। বিশেষ করে গত ১০ মাস প্রকাশ্যেই লুট হয়েছে। এর নেপথ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের নেতারা রয়েছেন।
গত শনিবার সকালে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) জাফলং এলাকা পরিদর্শনে গেলে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহর আটকে দেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের কয়েকজন নেতা।
আগে রাতের আঁধারে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন শুরু করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী কিম বলেন, বিগত দেড় দশকে সিলেটে যে পরিমাণ পাথর লুট হয়েছে, এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লুটপাট হয়েছে গত ১০ মাসের ব্যবধানে। এ নজিরবিহীন লুটপাট অতীতে দেখা যায়নি।