1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:

প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত: বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে
Bnp
Bnp

ঢাকা অফিস::

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ১২ জুলাই দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আপনারা জানেন, রাজধানীর চকবাজার থানার ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মী সোহাগকে প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যন্ত নৃশংস কায়দায় নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। এমন নৃশংস বর্বরতা প্রত্যক্ষ করে সমগ্র জাতি স্তম্ভিত। আমরা এই নৃশংসতার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। সভ্যতার এই যুগে এমন আদিম বর্বরতা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ও ইন্ধনদাতা হিসেবে যেসব যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীদের নাম এসেছে তাদের সকলকে আমরা সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছি। সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার জায়গা থেকে যা কিছু প্রয়োজন, আমরা সেই ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। কিন্তু এই ঘটনায় যারা সরাসরি সংশ্লিষ্ট হিসেবে ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি। যারা প্রাণঘাতী আঘাতগুলো করেছে তারা এখনো গ্রেপ্তারও হয়নি। এর কারণ আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা গণমাধ্যমসূত্রে জানতে পেরেছি, মামলার এজাহারে খুনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনজন খুনিকে পুলিশ কৌশলে বাদ দিয়ে নিরপরাধ তিনজনকে আসামি করেছে। ঘটনার পর ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও খুনিদের খুনের প্রমাণাদি হাতে থাকা সত্ত্বেও অদ্যাবধি কেন মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল না, এটা এক বিরাট প্রশ্ন ও রহস্য।

যুবদল সভাপতি বলেন, গত ৫ আগস্ট দীর্ঘ দেড় যুগের অবর্ননীয় নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুন, সোয়া লাখ গায়েবি মামলা, ইতিহাসের বর্বরতম ফ্যাসিবাদী নিষ্পেষণ থেকে দেশ, জাতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা মুক্তি লাভ করে। এই দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ বিএনপির নেতাকর্মীরাই নিজেদের জীবন, ক্যারিয়ার, পরিবার, ব্যবসাসহ জীবন ও সম্পদকে বিপন্ন করে এক বর্বর ফ্যাসিস্ট একনায়কের বিরুদ্ধে মাঠের প্রতিরোধটুকু জারি রেখেছিল। তারা গুম, খুন, অপহরণসহ নানামাত্রিক বর্বরতার নির্মম শিকার হয়েও কখনও মাঠ ছেড়ে যায়নি। গত জুলাইয়ের আন্দোলনেও আমরাই সবচাইতে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছি। সর্বমোট যে শহীদের তালিকা আমরা আজ পর্যন্ত পেয়েছি, তার প্রায় অর্ধেকসংখ্যকই আমাদের দলীয় নেতাকর্মী। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের সফলতার পর আমরা ক্রেডিটের নেশায় মোহগ্রস্ত না হয়ে, শহীদদের রক্ত নিয়ে ব্যবসা না করে স্বাভাবিক সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে গেছি।

মোনায়েম মুন্না বলেন, গত কয়েক মাসে সারাদেশের যেকোন জায়গা থেকে যখনই আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেলেই চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত প্রায় এক বছরে আমরা আমাদের হাজারো নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি। আমরা কোথাও দায় এড়ানোর রাজনীতি করিনি। বরং দায় গ্রহণ করে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থাটুকু নিশ্চিত করেছি। কিন্তু আমরা যে হাজারো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি, প্রশাসন কি তাদের বিষয়ে যথাযথ আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে? না নিয়ে থাকলে কেনো নেয়নি?

তিনি আরও বলেন, গত প্রায় এক বছরেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের জীবনের ন্যূনতম নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়নি। গতকাল খুলনায় যুবদলের একজন বহিষ্কৃত নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা জাতীয় গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। চাঁদপুরে খুতবা দেওয়ার সময়ে একজন ইমামের ওপর নারকীয় কায়দায় প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে।

মুন্না বলেন, গত সপ্তাহে কুমিল্লায় মব তৈরি করে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামীয় এক যুবককে এবং পরবর্তীতে ছাত্রদল নেতা সাম্যকে বর্বর কায়দায় হত্যা করা হয়। ইতোপূর্বে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা পারভেজকে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামধারী স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। কিন্তু একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিলেক্টিভ প্রতিবাদ করে বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং তীব্র কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, বিবৃতি দেওয়া শুরু করেছে। বিএনপি ইতোমধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সরকার ও প্রশাসনকে অসংখ্যবার অনুরোধ করেছে।

কিন্তু সরকার ও প্রশাসন এক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকার পরিকল্পনামাফিক প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে যাতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে এবং এই অজুহাতে জাতির দীর্ঘ প্রত্যাশিত জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট