ঢাকা অফিস
ভোলার বোরহানউদ্দিন মহিলা কলেজের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান ও তার ছেলে যোবায়ের রহমান (রুমি) যৌতুক দাবি মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যোবায়ের রহমান তার স্ত্রীকে বিয়ে করার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এই টাকার উৎস হিসেবে তার শাশুড়ির পেনশনের টাকা টার্গেট করা হয়, যিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন এবং সদ্য অবসরে গেছেন।
মেয়েটির পরিবার যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাহবুবুর রহমান ও তার ছেলে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে মেয়েটির পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হলে, আদালত মাহবুবুর রহমান ও যোবায়ের রহমানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন এবং গত ১৩ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহবুবুর রহমান ও তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত। যোবায়ের রহমান এর আগে ইশিতা নামে এক তরুণীকে বিয়ে করে কিছুদিনের মধ্যে তালাক দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাবা-ছেলে উভয়েই লম্পট ও দুশ্চরিত্র প্রকৃতির। মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে তার সৎ মা বিবি ফাতেমাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার আপন ভাইয়ের জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে।
তারা বর্তমানে ভোলা সদর পৌরসভার উকিলপাড়া মহিলা মাদ্রাসা রোডে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। যদিও মাহবুবুর রহমানের পৈতৃক ভিটা উদয়পুর এলাকার নতুন হাকিমুদ্দিন বাজারের কাছে অবস্থিত। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, মাহবুবুর রহমান তার বিধবা বোনের জমি বিক্রি করে হজে গিয়েছেন এবং এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার মতো ভয়াবহ ঘটনাতেও জড়িত ছিলেন।
জানা গেছে, বর্তমানে মাহবুবুর রহমান ও তার ছেলে কারাগারে থাকলেও, একটি মহল টাকার বিনিময়ে মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।