ঢাকা অফিস::
৭-দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই শনিবার বেলা ২টায় রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ জুলাই, মঙ্গলবার, সকাল ১০টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ সাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ও জনাব মোঃ ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি জনাব কামাল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি এড. আতিকুর রহমান এবং আইআরডি-এর সিইও জনাব মনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠকে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানের সর্বাত্মক প্রস্তুতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়ঃ
১. সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুতি, মাইকিং, ব্যানার ও ডিজিটাল ডিসপ্লেসহ যাবতীয় কারিগরি প্রস্তুতি ১৮ জুলাইয়ের পূর্বেই সম্পন্ন করা হবে।
২. স্বেচ্ছাসেবক দলকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে মোতায়েন করা হবে এবং তারা আগত জনসাধারণকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
৩. অংশগ্রহণকারীদের আসনব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যাপ্ত প্রবেশ ও নির্গমন পথ নিশ্চিত করা হবে।
৪. ট্র্যাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
৫. গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমাবেশের বার্তা ছড়িয়ে দিতে মিডিয়া উপকমিটিকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই-আগস্টের জনআকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন এবং জীবন উৎসর্গকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশপ্রেমিক জনগণকে ব্যাপকভাবে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।