সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার একটি হীন চেষ্টা।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আমি মনে করি গতকাল ১৬ জুলাই ২০২৫ গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই-অগাস্ট গণঅভুত্থানের (নাহিদ, সার্জিস, হাসনাত, জারা) নেতাদের হত্যার একটি হীন চেষ্টা। আমি আশ্চর্য হব না, যদি ডেভিল রানি নিজেই এর নির্দেশ দিয়ে থাকেন।’
তিনি লেখেন, ‘আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা এবং অনুশোচনা তো দূরে থাক- হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। এরপর ছাত্র-জনতার ঝাঁটা পেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। সারা বাংলাদেশে গোপালগঞ্জের মতো সন্ত্রাসী কায়দায় কার্যকলাপ চালাবার নির্দেশ দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জে দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় অংশ নেয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হামলাকারীরা, এতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কারফিউ জারি করে সরকার, যা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।