ঢাকা অফিস
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের শেল্টারে থাকার বিষয়টি জানতেন বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান জুলকারনাইন সায়ের।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ রিয়াদকে কোনো রকমের সার্ভেলেন্সে রাখি নাই।’
‘আর সে চাঁদা আনতে গিয়ে যে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটা লাগানোতেও আমার কোনো ভূমিকা নাই। রিয়াদ যে আপনার শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম। পরে জানতে পারলাম, আপনার ও আপনার বাবার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি (নাহিদ ইসলাম) আমার ওপর ক্ষেপে গেছেন কারণ আপনাকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে যে রিয়াদকে ধরিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নাকি আমার।’
আমি দৃঢ়ভাবে আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায় আমার কোনো হাত নাই। ওই ফেসবুক পোস্টে কয়েকটি প্রশ্ন করেন সাংবাদিক জুলকারনাইন।
প্রশ্নগুলো হলো-
১. বিপ্লবের আগে ছাত্রশক্তির ঢাবিতে লোকবল কত ছিল?
২. দেশের অন্য কোন-কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?
৩. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের নাহিদ ইসলাম ৫ আগস্টের পূর্বে চিনতেন কি না?
৪. কেবল ছাত্রশক্তির বিপ্লব সংগঠিত করার মতো সাংগঠনিক কাঠামো ছিল কি না?
৫. গুটিকয়েক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী না জানালে সাদেক কায়েমের অবদানের কথা নাহিদ ইসলামরা জাতিকে জানাতেন কি না?
এর আগে আজ দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। ৫ আগস্টের পর তিনি এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন।
অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় সংবাদ সম্মেলনে সাদিক কায়েমকে রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।