1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:
২০ জুলাইয়ের পর ১ দফার ঘোষণা পর্যন্ত নাহিদের আর কোনো ভূমিকা কারও জানা আছে কিনা জানি না: কেফায়েত শাকিল নাহিদের ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সাদিক কায়েমের চ্যালেঞ্জ সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের , মনোনয়ন পিআর পদ্ধতিতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক : পিআর ঘিরে উত্তেজনা রিয়াদ যে নাহিদ ইসলামের শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম : জুলকারনাইন কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা জাতীয় সনদে স্বাক্ষর নিয়ে যে বার্তা দিলো জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির কোনো বার্তা নেই : সেনাবাহিনী দলীয় প্রতীক থাকছে না সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ৫-৬ দিনে বুঝব আমরা কোথায় যাচ্ছি : প্রেস সচিব

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক : পিআর ঘিরে উত্তেজনা

মো: জাবের হোসেন , সহ বার্তা সম্পাদক
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে
Image 568588 1753965033
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা অফিস

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২৩তম বৈঠকে একজন রাজনীতিকের পিআর নিয়ে একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও মন্তব্যকারীর ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে পরবর্তী সময়ে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিনকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা কটাক্ষ করে ‘২৩ সালে কোথায় ছিলেন’ জানতে চান। তার এই মন্তব্য নিয়ে সংলাপে উত্তেজনা তৈরি হয়।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ২৩ তম দিনের সংলাপে একপর্যায়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের পরে পিআর নিয়ে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ যখন বলেন, তারা সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা উচ্চকক্ষের হাতে দিতে চান না।

উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিদের অনির্বাচিত আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা থাকে না।’

সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য শেষ হলে জাভেদ রাসিন বলেন, ‘ভোটের সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ গঠিত হলে, সেটি তো জনগণের প্রতিনিধিত্বের প্রতিফলন হয়।’ সে এ বিষয়ে সালাহউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তখন সালাহউদ্দিন ব্যাখ্যা দেন।

ঠিক তখনই সৈয়দ এহসানুল হুদা মাইক ছাড়াই জাভেদ রাসিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন আন্দোলন হচ্ছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন।’ জাভেদ রাসিন এ সময় মাইক ছাড়াই তার মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন। ফলে সংলাপে উত্তেজনা তৈরি হয়।

তারা দুজনই মাইক ছাড়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন। তখন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘হুদা ভাই, এর আগেও আপনারা একজনের বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তখন আমরা থামিয়েছিলাম।’

‘এখানে আমরা কে কেন এসেছি, সে প্রশ্ন তুললে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, আজ যদি সে প্রশ্ন করেন, তাহলে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে, আমাকেও সে প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা সে আলোচনায় যাচ্ছি না।’

তারপর এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘তিনি (হুদা) এ কথা বলতেই পারেন না।’ এ সময় সালাহউদ্দিন তার পিঠ চাপড়ে থামতে অনুরোধ করেন। আখতার তখনো বলতে থাকেন, ‘আমরা বাচ্চাকাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি।’

তখন আলী রীয়াজ বলেন, ‘কারও লোকাস স্ট্যান্ডার্ড (লোকাস স্ট্যান্ডি—রাজনীতির প্রেক্ষাপটে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যখন কোনো কর্মকাণ্ড, নীতি বা সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তখন অবস্থানের অবস্থান বোঝাতে এই শব্দবন্ধ ব্যবহৃত হয়) গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়ে প্রশ্ন করার দরকার নাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের লোকাস স্ট্যান্ডার্ড আছে বলেই আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি।’

তখন আখতার বলেন, ‘গায়ের জোরে এসব প্রশ্ন করলে তো আমরা মানব না।’

জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি তো হস্তক্ষেপ করলাম।’

আখতার তখনো বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি। গোটা অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা মাঠে নেমে আসল, সেটার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। এটার জন্য ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদকে বলতে শোনা যায়, ‘হুদা ভাই, আপনি সরি বলেন।’

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জেনায়েদ সাকী এ বিষয়ে কথা বলতে উঠে দাঁড়ালে, আলী রীয়াজ তাকে অনুরোধ করে বসিয়ে দেন। এ সময় সাকী কিছু একটা বলার চেষ্টা করলেও মাইক না থাকায় তা শোনা যায়নি।

এরপর, সালাহউদ্দিন আহমেদ হুদাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকে, তার জন্য সরি বলেন।’

এর পর এহসানুল হুদা মাইক নিয়ে বলেন, ‘আমি বলতে চেয়েছিলাম, ২০২৩ সালে আমরা উচ্চকক্ষের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তখন সে প্রস্তাবটি (পিআর) কোথায় ছিল। তারপরও কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকে, আমি দুঃখিত।’

এরপরই আলী রীয়াজ মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঘোষণা করেন। বিরতির সময় সম্মেলন কক্ষে হুদাকে আবার আখতারের কাছে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে কোলাকুলি করতে দেখা যায়।

হুদাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার অনুরোধ, আমরা এটা নিয়ে আর সিন ক্রিয়েট না করি। আমার আপনাদের নিয়ে প্রশ্ন করার ইনটেনশন ছিল না।’

পরে আখতার হুদাকে জাভেদ রাসিনের সঙ্গে কোলাকুলি করিয়ে দেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট