1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাগেরহাটে স্কুলের দেয়াল ভেঙে ছাত্র নিহত: এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের শিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ় ভূমিকা রাখতে হবে- সেলিম উদ্দিন মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়লেন যেসব হেভিওয়েট নেতারা ঢাকা ১১ আসনে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম যশোর -১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন তৃপ্তি সিরাজগঞ্জ জেলার ০৬ টি আসনের মধ্যে ০৫টি আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা  ঢাকা ১৩ আসনে মহিলা জামায়াতের নির্বাচনী কর্মশালা তালায় হাজরাকাটি ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ঔষধ বিতরণ যশোরে ৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত সাতক্ষীরা থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা,বাদ পড়লেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা

নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর

মেহেদী হাসান আনাস, বার্তা সম্পাদক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে
Myanmar 20250811161947
আগামী জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জাতিগত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

ঢাকা অফিস :

নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জাতিগত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সোমবার দেশটির সশস্ত্র এই গোষ্ঠী তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জান্তার পরিকল্পিত জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার এই ঘোষণা দিয়েছে।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরাকান আর্মি (এএ) মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। বর্তমানে এই গোষ্ঠীটি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের প্রায় পুরো অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে।

আরাকান আর্মি ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় শাসনের বিরোধিতা করা বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে জান্তা। বর্তমানে এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির নতুন গণতন্ত্রপন্থী বিভিন্ন গেরিলা ইউনিটও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

দেশটিতে অভ্যুত্থানের সময় জারি করা জাতীয় জরুরি অবস্থা গত জুলাইয়ের শেষের দিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সামরিক জান্তা। ওই সময় দেশটিতে আগামী ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রকামী আইনপ্রণেতারাসহ দেশটির জান্তাবিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ মিয়ানমারে জান্তার এই নির্বাচনকে ‘‘প্রতারণা’’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। জান্তার শাসন টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত পর্যবেক্ষণ করে আসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে অন্তত ১৪টি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, ‘‘জনসমর্থনবিহীন নির্বাচন জনগণের কোনও উপকারে আসবে না, বরং তাদের আরও বিভ্রান্ত করবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘সামরিক জান্তা পরিষদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তা হতে দেওয়া হবে না। আর এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, রাখাইনবাসী নির্বাচনে আগ্রহী নন।’’

জান্তার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিয়ানমারের মোট ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার অন্তত ২৫ লাখই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনে বসবাস করেন। প্রাথমিকভাবে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকলেও ২০২৩ সালের শেষের দিকে সেটি ভেস্তে যায়।

পরে দেশটির অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেয়। দেশটির সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারায় সামরিক বাহিনী।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। পাশাপাশি উপকূলীয় এই রাজ্যকে দেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে সেখানে অঘোষিত অবরোধ আরোপ করে জান্তা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাখাইনে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় বসবাস করছেন। মিয়ানমারের জান্তা বলেছে, তারা স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিতে রাজ্যের ১৪টি শহরে স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে।

সূত্র: এএফপি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট