1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাগেরহাটে স্কুলের দেয়াল ভেঙে ছাত্র নিহত: এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের শিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ় ভূমিকা রাখতে হবে- সেলিম উদ্দিন মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়লেন যেসব হেভিওয়েট নেতারা ঢাকা ১১ আসনে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম যশোর -১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন তৃপ্তি সিরাজগঞ্জ জেলার ০৬ টি আসনের মধ্যে ০৫টি আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা  ঢাকা ১৩ আসনে মহিলা জামায়াতের নির্বাচনী কর্মশালা তালায় হাজরাকাটি ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ঔষধ বিতরণ যশোরে ৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত সাতক্ষীরা থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা,বাদ পড়লেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা

উপদেষ্টা হতে সমন্বয়ককে ২০০ কোটির চেক দিয়েছিলেন ক্যান্সার হাসপাতালের সাবেক পরিচালক

মো: জাবের হোসেন , সহ: বার্তা সম্পাদক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে
Image 573913 1756297233
ছবি : সংগৃহীত

এডিশন ডেস্ক

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিআরএইচ) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ পাওয়ার প্রলোভনে একজন সমন্বয়ককে ১০ লাখ টাকা নগদ এবং চারটি চেকের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন।

এই ঘটনা এ বছরের জানুয়ারিতে সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অভিযোগ দেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।

অভিযোগের বিস্তারিত সূত্রের মতে, অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা, যিনি এনআইসিআরএইচ-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ পাওয়ার আশায় একটি সমন্বয়ক গ্রুপের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছেন। এই গ্রুপ নিজেদের যুমনা থেকে আগত হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, ডা. মোস্তফা ১০ লাখ টাকা নগদ এবং ২০০ কোটি টাকার চারটি চেক প্রদান করেছেন। এই লেনদেনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জড়িত, যিনি নিজেকে সমন্বয়ক আরেফিনের ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আরিফুল ইসলাম সরাসরি ডা. মোস্তফার চেম্বার থেকে চেকগুলো সংগ্রহ করেন।

যদিও আরেফিন সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না, তিনি ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে এই ডিল নিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।

তদন্তের অগ্রগতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার ব্যাংক হিসাব, আর্থিক লেনদেন এবং সমন্বয়ক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগাযোগের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দল চেকগুলোর সত্যতা এবং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছে।

দুদকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির একটি গুরুতর ঘটনা। আমরা এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও কঠোর তদন্ত পরিচালনা করছি।”

এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে এই ঘটনাকে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির একটি চরম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

একজন নাগরিক বলেন, ‘ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের চিকিৎসার জন্য যে প্রতিষ্ঠানের উপর আমরা নির্ভর করি, সেখানে এ ধরনের দুর্নীতি কল্পনাতীত।’

আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘অস্ত্রধারী সমন্বয়কদের জড়িত থাকার বিষয়টি এই ঘটনাকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

তবে, একজন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দুদকের তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের দুর্নীতি রোধে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া, আর্থিক লেনদেনের কঠোর নজরদারি এবং প্রশাসনিক সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, স্বাস্থ্য খাতে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দুদকের তদন্তের ফলাফল দ্রুত প্রকাশ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। অস্ত্রধারী সমন্বয়কদের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনা জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সুনামের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে এবং দেশের স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার প্রশ্ন তুলছে। তদন্তের ফলাফল এবং সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ এই বিষয়ে জনগণের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট