এডিশন ডেস্ক::
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুস সালাম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সভায় তিনি শ্যামনগর তথা সাতক্ষীরা অঞ্চলের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় এ্যাড. আব্দুস সালাম বলেন, “শ্যামনগর হয়ে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হয়। তাই সাতক্ষীরা-শ্যামনগরকে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন শহর ঘোষণা করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তিনটি কর্নারে রেললাইন রয়েছে। এখন প্রয়োজন ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা হয়ে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা। পাশাপাশি ঢাকা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত ফোর লেন মহাসড়ক নির্মাণও অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসা খাতের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সাতক্ষীরায় উন্নত চিকিৎসার অভাবে অনেক মানুষ অকালমৃত্যুবরণ করছেন। সুন্দরবনের কাছাকাছি একটি বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করলে এ অঞ্চলের মানুষ যেমন উপকৃত হবে, তেমনি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।”
তিনি সাতক্ষীরায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। সেখানে সমুদ্র বিজ্ঞান, বনবিদ্যা ও মৎস্য বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষা ও গবেষণা চালুর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
এ্যাড. আব্দুস সালাম মনে করেন, পদ্মাসেতু হওয়ার পর বাগেরহাটে বিমানবন্দর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। তার পরিবর্তে সুন্দরবনের কাছাকাছি সাতক্ষীরায় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হলে দেশি-বিদেশি পর্যটন বাড়বে এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, “সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। শ্যামনগরের বহু ইউনিয়নে এখনও পাকা রাস্তা হয়নি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এ বেহাল দশা মেনে নেওয়া যায় না। তাই দ্রুত রাস্তাঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন করতে হবে।”
বিএনপি’র ৩১ দফা সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারেক রহমানের প্রস্তাবিত এ সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”
সভায় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “সন্তান না কাঁদলে মাও দুধ দেয় না। তাই উন্নয়নের দাবিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে সাতক্ষীরার সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরবেন—এই প্রত্যাশা করি।”
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।