এডিশন ডেস্কঃ
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত জোট। একইসাথে জেলার প্রতিটি উপজেলা পর্যায়েও এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় বাগেরহাট নির্বাচন অফিসের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়।
গত পরশু পূর্ব ঘোষিত টানা তিন দিনের হরতাল শিথিল করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা এবং সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করেই হরতাল থেকে সরে এসে এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
বক্তারা বলেন—বাগেরহাটবাসী ন্যায্যভাবে চারটি আসনের দাবিদার। যদি নির্বাচন কমিশন এই যৌক্তিক দাবি মেনে না নেয়, তবে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ, গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এর পরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা—বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।