এডিশন ডেস্ক::
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছে মেহেদী হাসান (২৭) নামে এক যুবক।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শ্যামনগর পৌর সদরের মহসীন কলেজ সড়ক থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। আটক মেহেদী উপজেলার খাসকাটা আবাদচন্ডিপুর গ্রামের এবাদুল মোল্লার ছেলে।
অভিযোগ রয়েছে, মেহেদীর নেতৃত্বে সাত–আটজনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে শ্যামনগর ও সুন্দরবন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। তারা সংবাদ প্রকাশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে হয়রানির ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেদী পূর্বে শ্যামনগর থানায় পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল চালানো এবং সোর্স হিসেবে কাজ করত। সে সময় পুলিশ দিয়ে মানুষকে উঠিয়ে নেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত। পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।
সম্প্রতি ইজিবাইক মেকানিক সোয়ালিয়া গ্রামের সজিবের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করলে, সজিব কৌশলে টাকা নিতে মেহেদীকে এলাকায় ডেকে আনে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সজিব জানান, মেহেদী পূর্বে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিল।
এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, তার বন্ধুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মেহেদী ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, মেহেদীর সহযোগীরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বনবিভাগ এবং থানার কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকেও নিয়মিত অর্থ আদায় করে আসছে। টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখানো হতো।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “জনতার হাতে ধরা পড়া মেহেদী হাসানকে থানায় নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় প্রেসক্লাব নেতারাও। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”