1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. md.ahsanulrobiul@gmail.com : Ahsanul Islam : Ahsanul Islam
  3. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  4. habibullahbhola467@gmail.com : মোঃ হাবিবুল্লাহ : মোঃ হাবিবুল্লাহ
  5. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  6. mizan070301@gmail.com : মোঃ মিজানুর রহমান : মোঃ মিজানুর রহমান
  7. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  8. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  9. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  10. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে তাহিরপুরের মৎস্যজীবিরা চলতি নদীতে বড়শি দিয়ে মৎস্য আহরণে বাঁধা,লিখিত অভিযোগ দায়ের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান এর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল  পাইকগাছার চাঁদখালীতে এ্যাড মোমরেজুল ইসলামের গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ  জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বাগআঁচড়া শাখার নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা যশোর সদর হাসপাতাল থেকে মহিলা পকেটমার আটক শ্যামনগরে সিসিডিবির  জলবায়ু সহনশীল কমিটি গঠন  গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ৩ জন নিহত ১১ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ডা: জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের জবাবে বাংলাদেশ আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হলেন ডা. শফিকুর রহমান

খুলনায় ১১ দিনের নবজাতক শিশু নিয়ে কারাগারে শাহাজাদী

নারায়ণ দাস, মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি (খুলনা)
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

এডিশন ডেস্ক::

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় অবশেষে আদালতে হাজির করা হলো শাহজাদীকে। হাসপাতালের বিছানা থেকে সোজা আদালতের কাঠগড়ায়—কিন্তু তাঁর পাশে দাঁড়ানোর মতো একজন আইনজীবীও ছিলেন না। কেউ জামিন আবেদন করলেন না, কেউ বললেন না একটি শব্দ। মূলত আদালতের নির্দেশে যেতে হলো কারাগারে।

তবে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্য ছিল সেই মুহূর্তে—শুধু শাহজাদী নন, তাঁর বুকের দুধের আশায় কাঁদতে থাকা ১১ দিনের কন্যাশিশুকেও মায়ের সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হলো খুলনা জেলা কারাগারে। আদালতে উপস্থিত অনেকেই শিশুটিকে মায়ের কোলে কারাগারের পথে যেতে দেখে চোখ মুছতে বাধ্য হয়েছেন।

বাগেরহাটের রামপালের সিরাজুল ইসলাম ও ফকিরহাটের মেয়ে শাহজাদীর সংসারে চার কন্যা। পরিবার ও স্বামীর চাপ ছিল—অন্তত এবার যেন ছেলে সন্তান আসে। কিন্তু গত ১১ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ানের মাধ্যমে আবারও কন্যাশিশুর জন্ম হয়। খবর পেয়েই স্বামী হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এরপর আর ফিরে আসেননি, যোগাযোগও রাখেননি।

চরম মানসিক চাপে দিশেহারা শাহজাদী এক অমানবিক ভুল করে বসেন। ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে একই হাসপাতালে জন্ম নেওয়া অন্য এক নারীর ছেলে নবজাতক তিনি কোলে তুলে নেন। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়ে তাঁর সেই মুহূর্ত। পুলিশের তৎপরতায় সেদিন সন্ধ্যায়ই শিশুটি উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার হন শাহজাদীর মা নার্গিস বেগমও। মানবপাচার আইনে মামলা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।

আজ যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন শাহজাদী, তখনও তাঁর পাশে ছিলেন না স্বামী কিংবা পরিবারের কোনো ঘনিষ্ঠজন। দুসম্পর্কের এক ভাই কেবল বিল মেটাতে এগিয়ে এসেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহীন কবির বলেন, “আসামি সুস্থ হওয়ায় আইন অনুযায়ী আদালতে হাজির করা হয়েছে।”

কিন্তু আদালতের কাঠগড়ায় মা ও শিশুর প্রতি সহানুভূতির কথা কেউ তুললেন না। প্রথা অনুযায়ী নবজাতককে মায়ের সঙ্গেই রাখা হলো।

মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক দর্শক ধীরে বলছিলেন— শিশুর কোনো দোষ নেই। অথচ জন্মের পর প্রথম আশ্রয়টাই হলো কারাগার।

এটি শুধু এক মায়ের অপরাধের গল্প নয়; সমাজ ও পরিবার থেকে বহিষ্কৃত এক নারীর করুণ পরিণতি। আর সেই পরিণতির দায় একদিন কি শুধু শাহজাদীর কাঁধেই বর্তাবে?

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট