1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  3. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  4. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  5. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  6. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  7. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:
আসন্ন নির্বাচনে উলামা মাশায়েখদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে – অধ্যাপক মাহফুজ  ইসরায়েলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা অর্থহীন ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলছেন রাজনীতিবিদরা নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তা নিরসনকল্পে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করার আহ্বান জামায়াতের প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল, হামলা হতে পারে ইরানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: সেই দ্বৈরথ দেখতে চান শান্তও ভারতে ২৫০ যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমানুষের ইচ্ছা আগে সংস্কার ও বিচার তারপর জাতীয় নির্বাচন: মোবারক হোসাইন ইলিশের প্রজনন রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে

আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না- ডা.শফিকুর রহমান

মেহেদী হাসান আনাস, বার্তা সম্পাদক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে
498247171 1098230815667148 7824360788381214802 N
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান

ঢাকা অফিস: 

‘জামায়াতে ইসলামী শুধুমাত্র ভোট বা নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনৈতিক দল নয় বরং আমরা আর্ত-মানবতার মুক্তি ও সমাজের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিবর্তন করতে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি আজ বিকালে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত থানা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে দারসুল কুরআন পেশ করে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ।
বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এম পি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিন, মু. আতাউর রহমান সরকার, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন ও ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি প্রমূখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চায়। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ঢেলে সাজাতে চাই যাতে রাষ্ট্রই সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে। জামায়াত এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য বা ভেদাভেদ থাকবে না। কিন্তু অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা একাজ করেনি বরং তারা আত্মস্বার্থ, ব্যক্তিস্বার্থ, শ্রেণি স্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ রক্ষা সহ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করেছে। তাই জামায়াতকে সবসময় স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে হয়েছে। সঙ্গত কারণেই আমরা নানাভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আর ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কিছু নয় বরং নবী-রাসূলগণও তা থেকে রেহাই পাননি। অবিশ্বাসীদের জুলুম- নির্যাতনের মুখেই আল্লাহ তা’য়ালা হযরত ঈসা (আ.)কে দুনিয়া থেকে নিজের কাছে ওঠে নিয়েছেন। তাই যেকোন জুলুম- নির্যাতনে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে হতোদ্যম হলে চলবে না বরং সকল বাধা- প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পথচলা অতীতে নির্বিঘ্ন ছিলো না; এখনো নয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তদানীন্তন জালিম সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলো। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তারা সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিলো। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মতৎপরতা কখনোই বন্ধ ছিলো না। ১৯৭৮ সালে নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর তা প্রমাণ হয়েছিলো। তবে এজন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। মামলা, হামলা, গণগ্রেফতার, রিমান্ড, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুপ্তহত্যা ছিলো আমাদের নিত্যসঙ্গী। এমনকি জুডিশিয়াল কিলিং-এর মাধ্যমে আমাদের শীর্ষনেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আল্লাহ তা’য়ালার অপার মেহেরবানীতে মুহতারাম এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো জীবিত আছেন। বিপ্লব পরবর্তী অনেক সময় পার হয়ে গেছে। আগামী ২৭ তারিখ তার মামলার রায় রয়েছে। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য সকলকে আল্লাহর তায়ালার সিজদাবনত হওয়ার আহবান জানান।
আমীরে জামায়াত বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে না বরং আমরা ময়দানে জানমালের কোরবানীর মাধ্যমে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রচলিত সকল প্রকার অনিয়মের ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চাই। এ কাজ করতে গিয়েই আমাদের অনেক ভাই শাহাদাতকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন। স্বজন হারিয়েছেন অনেকেই। আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমরা মজলুম হলেও জালেম হবো না। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠাকে জীবনের উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট