কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, পি.আর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কলারোয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে কলারোয়া হাই স্কুল ফুটবল মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দলটি। পরে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেতাকর্মীরা। হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি উৎসবমুখর পরিবেশে রূপ নেয়।
এর আগে ফুটবল মাঠে ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করে জামায়াত। এ সময় জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন,পিআর পদ্ধতি নির্বাচন না হলে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ ওসমান গনী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ কামারুজ্জামান, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ, নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, প্রভাষক হাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুল গফুর মন্টু, অধ্যাপক শাহাজান কবীর, অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু, মাওলানা মোঃ রুহুল কুদ্দুস, অফিস সেক্রেটারি জাহিদ হাসান মিঠু, কর্ম পরিষদ সদস্য একেএম কুরবান আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার শওকত হোসেন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আহম্মদ আলী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মোঃ এরশাদ আলী
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা অভিযোগ করেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন মানে দিনের ভোট রাতে করার প্রস্তুতি, যা জনগণ আর কখনও মেনে নেবে না। দেশের জনগণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায়। পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য চায়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ন্যায় আবার যেনো কোন দল বা গোষ্ঠী ফ্যাসিস্টরূপে আবির্ভূত হতে না পারে সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনা প্রয়োজন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পিআর পদ্ধতি কার্যকর আছে। পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।